• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


ধর্ষক ও নিপীড়কদের বিচার দাবিতে জাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
ধর্ষক ও নিপীড়কদের বিচার দাবিতে জাবিতে কুশপুত্তলিকা দাহ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ꦯশিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যাল𒆙য়ের কেন্দ্রীয় 🦩ক্যাফেটেরিয়া সংলগ্ন ‘অমর একুশে’ ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚষার্থীদের সম্মিলি🌜ত প্লাটফর্ম ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’ এর ব্যানারে যৌন নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি ও ধর্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হলো- ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা এবং র্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা,  নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা এবং ইতোপূর্বে যৌননিপীড়ন সেলে উত্থাপিত সকল অমিমাংসিত অভিযোগসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্প♔াসে অবাঞ্ছিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মানববন্ধনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. গোলাম রব্বানী বলেন, “দাবির মধ্যে দিয়েই আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট উন্মোচন করেছি। আমাদের দাবিগুলো ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের দাবি। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখার দাবি ও বিশ্ববিদ্যালয়কে কলুষতামুক্ত করার দাবি। আমাদের দাবি আদায় না হওꦆয়🌸া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি নিপীড়ক শিক্ষককে অব্যাহতি না দেওয়া হলে আমরা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট ঠেকাতে বাধ্য হব। দাবি আদায় না করে টালবাহানা করার কোনো সুযোগ প্রশাসনের নেই।”

প্রাণ রসায়ন ও অন💛ুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “র্যাব বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধর্ষণকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না। আমরা সবাই তা উপলব্ধি করছি,💙 কেবলমাত্র আমাদের উপাচার্য মহোদয় তা উপলব্ধি করতে পারছেন না।”

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিরাগত নিষিদ্ধ করতে পারলেও আশ্চর্যজন♈কভাবে ক্যাম্পাসে সাবেক শিক্ষার্থীদের অপরাধ দমন করতে পারেনি, তাদের প্রভাব ঠেকাতে পারেনি। বরং প্রশাসন আমাদের চলমান আন্দোলনকে ক্রমাগত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রহসন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই প্রশাসনকে ধিক্কার জানাচ্ছি।”

Link copied!