• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪, ১ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ সফর ১৪৪৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


জবি ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের দফায় দফায় মারামারি


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম
জবি ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের দফায় দফায় মারামারি
আহতরা। ছবি : সংগৃহীত

সূত্রাপুর 𝐆থানা ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপ থেকে দুইজন করে ৪ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারামারি সূত্রপাত বলে 𝐆জানা গেছে।

শনিবার (১ জুন) রাতে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী কলেজের💯 সামনে ও ন্যাশনাল হাসপাতালে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে প্রথম মার𓂃ামারির সূত্রপাত ঘটে। এসময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীরা রড, হাতুড়ি, ইট দিয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজির কর্মী মেহেদী হাসান মিরাজসহ তার বন্ধুদের মারধর করে গুরুতর আহত করে। এরপর তাদের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ইন্সটিটিউট হাসপাতালে নেওয়াꦰ হলে সোহরাওয়ার্দী-সূত্রাপুর ছাত্রলীগের কয়েকজন হাসপাতালে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসেন।

এসময় খবর পেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাꩵত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি গ্রুপের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী রড, লাঠি, জিআই পাইপ নিয়ে এসে তাদের ওপর হামলা করে। এতে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন গুরুতর আহত হন।

পরবর্তীতে জবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় লাঠি সোঁটা নিয়ে শোডাউন দিয়ে বিপক্ষ গ্রুপকে খুঁজতে থাকে। এসময় জবি ছাত্রলীগের ১৩ ব্যাচের চয়ন, ১৫ ব্যাচের রহিম ও রাজাসহ কয়েক𝔍জন জড়িত বলে জানা যায়। পরে পুলিশ ঘুলটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে আহত হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রু💧পের কর্মী ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, “আমি পুরান ঢাকার স্থানীয়। গতকাল রাতে জগন্নাথের ৫-৬ জন ও পুরান ঢাকার আরও ৫-৬ জন বন্ধুরা মিলে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় আমার বন্ধু আকাশের (বাবু বাজারে ব্যবসা করে) সঙ্গে পুরাতন শত্রুতার জের ধরে আমাদের ওপর হ♉ামলা করে।

মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, “৭-৮ জন থাকলেও তাদের এলাকা বলে কাছে থাকা হাতুড়ি, রড দিয়ে হামলা করে। এসময় আমার কয়েকজন বন্ধু মার খেয়ে দৌড় দেয়। একা পেয়ে আমাকে ও আমার বন্ধু সাব্বিরকে (জুবিলি স্কুলে পড়ালেখা করেন) মেরে গুরুতর আহত করে। এরপর আমাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে﷽ ওই গ্রুপের কয়েকজন হাসপাতালে আমাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসে। মনে করছে জগন্নাথের কেউ নেই। তবে খবর পেয়ে ফরাজী ভাইয়ের গ্রুপের আমার বড় ভাইরা আসেন। তখন বিপক্ষ গ্রুপের সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন মার খেয়েছেন।”

বিপক্ষ গ্রুপের পরিচয় জানতে চাইলে মিরাজ বলেন, “তারা কেউ সোহরাওয়ার্দী ছাত্রলীগের, ꧃আবার কেউ সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের নেতা আজিম। আর আজিম সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিল্লালের রাজনীতি করে।”

জানা যায়, আলী আজিম খাঁন সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্প💜াদক। পড়ালেখা করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে শান্ত নামে মেহেদীর এক বন্ধুকে থানায় আটক করেছে সূত্রাপুর থানার পুলিশ।

এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজম খাঁন বলেন, “𓄧সিয়ামকে মারতে জগন্নাথের ৩০-৪০ জন আসে। আর এরা ছিল মাত্র ৩-৪ জন। তাদের হামলায় সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন আহত হয়♏েছেন। সিয়াম একটি কলেজে ও ফয়সাল লালবাগ কলেজে পড়েন। আমার সঙ্গে রাজনীতি করতে বলতে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম করে মাঝেমাঝে। এটা রাজনৈতিক ঘটনা না। বন্ধুদের ভেতর হাতাহাতি হয়।”

সোহরাওয়ার্দী কলেজꦕ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কলেজের কেউ এ ঘটনায় জড়িত নেই। বহিরাগতরা কলেজের নাম ভাঙিয়ে ঘটনা ঘটায়। সিয়াম, ফয়সাল কলেজের কেউ নন।”

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেন বলেন, “মারা🧸মারির ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কেউই ছিল নꦰা। ওখানে যারা মারামারি করেছে সেটা ব্যক্তিগত কোনো ঝামেলায় ঘটেছে। যারা ওখানে মারামারিতে ছিল, তাদের সঙ্গে আমাদের মিছিল-মিটিং করা অবস্থায় কোনো ছবি কেউ দেখাতে পারবে? এমনকি সেখানে সোহরাওয়ার্দী কলেজেরও কেউ সেখানে ছিল না। চাইলে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে পারেন।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের য🍬েসব শিক্ষার্থী সেখানে মারামারিতে জড়িত ছিল, তাদের কাওকেই আমি চিনি না।”

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “ক্যাম্পাসের ভেতর কোনো মারামারি হয়নি। জেনেছি, এই ঘটন♐ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্🅘র ছিল। কোনো অপরাধকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্রয় দেয় না। পুলিশ প্রশাসন ঘটনা তদন্ত করছে। তারা ব্যবস্থা নেবে।”

এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম বলেন, “তুচ্ছ ঘটনায় হাতাহাতি। আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। এ ঘ𓄧টনার তদন্ত চলছে।”

Link copied!