নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণি উপস্থিতি ৭০ ভাগ না হলে কোনো শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। সেই সঙ্গে তিনটি বিষয়ের মূল্যায়ন যদি ষষ্ঠ স্তরের বিকাশমান পর্যায়ে থাকে তাহলে তাকে অকৃতকার্য হিসেবে ধরা হবে। সে পরবর্ত😼ী শ্রেণিতে উঠতে পারবে না। নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় এ প্রস্তাব করা হয়েছে।
চলতি বছর থেকে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে ক্লাস চলছে। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি মূল্যায়ন পদ্ধতি।
তবে নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় বলা হয়েছে, ৭ স্তরে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে। অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান এবং প্রারম✃্ভিক। এর মধ্যে অনন্য হচ্ছে সবচেয়ে ভালো꧒ ফল। আর বিকাশমান এবং প্রারম্ভিক এই দুটি হচ্ছে সর্বশেষ পর্যায়।
এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, “প্রশ্নপত্রের প্যাটার্ন এখানে যেভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো এক্𝄹সপেরিয়েন্স শেয়ার লার্নিং ক্যাটাগরিতে যেভাবে আমাদের পাঠ্যপুস্তকগুলো সাজানো সেভাবে করেই হবে।”
কোনো শিক্ষার্থীর যদি তিনটি বিষয়ে বিকাশমান স্তরে ফলাফল থাকে তাহলে তাকে ফেল হিসেবে গণ্য করা হবে। সে পরবর্তী শ্রেণিতে উঠতে পারবে না। এসএসসির ক্ষেত্রে কেউ যদি দুই বিষয়ে ফেল করে তাহলে সে কলেজে ভর্তি হতে পারবে। ক⛦িন্তু পরবর্তী বছর তাকে এই দুই বিষয়ের পরীဣক্ষা দিতে হবে।
অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, “সিডিআরসিস🔥ি কমিটির অনুম🌼োদন হয়েছে, এখন মন্ত্রণালয়ের এনসিটিবির সভায় এটা অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হবে।”
এদিকে শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, মূল্যায়ন পদ্ধতি এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় এখনো ধোঁয়াশায় অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষকরা বলছেন, বিষয়গুলো পুরোপুরি পরিষ্কার না হওয়ায় মূল্যায়ন নিয়ে শিক্ষকদের প্র𝄹শিক্ষণ দে👍ওয়া জরুরি।
তারা আরও বলেন, “শিক🐲্ষকদের একটা ওয়ার্কশপ হোক, নতুন বিষয়গুলো সম্বন্ধে তাদের একটি ওয়াকিবহাল করা দরকার। এটাকে আমি প্রশিক্ষণই বলব। এটার দরকার আছে।”
নতুন শিক্ষাক্ꦕরমে প্রতি♏ বিষয়ে ৬৫ শতাংশ লিখিত এবং ৩৫ শতাংশ দক্ষতাভিত্তিক মূল্যায়ন হবে।