অবশেষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রায় আট হাজার শি🎃ক্ষার্থীদের প্রত্যাশি🔯ত প্রধান ফটকের (২ নম্বর গেট) উদ্বোধন হচ্ছে ২৯ সেপ্টেম্বর।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিন্ডিকেট রুমে ཧশিক্ষার্থ𒁏ীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা সময় এই ঘোষনা দেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো শওকাত আলী।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীরা মূল ফটক, টিএসসি, আবাসিক হল, অডিটোরিয♓়ামসহ বিভিন্ন দাবি তোলে। সেই দাবির প্রেক্ষিতে গত বছরের এপ্রিল মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হতে থাকে প্রধান ফটক। কিন্তু শিক্ষক আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে অসম্পূর্ণ থাকে এই গেইটের কাজ ।
বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মো শওকাত আলী দায়িত্ব নেওয়ার দ্বিতীয় কর্ম দিবসে ঘোষণা দেন সাত দিনের মধ্যে মূল ফটকের (২ নম্বর গেট) কাজ সম্পন্ন করা হবে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর এই মূল ফটক উদ্বোধন করা হবে। এতে বিশ্ববিদ🍸্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ꧃ও কর্মচারীরা আনন্দের জোয়ার বইছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দৃষ্টিনন্দন ফটকটি তিন তলা ভবনের সমান উচ্চতাবিশিষ্ট। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সাদ সিদ্দিকের নকশাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। মূল ফটকের দুইটি সমান ট্রাপিজয়েডাল অংশটি নারী ও পুরুষের সম-অধিকার এবং মর্যাদার প্রতিনিধিত্ব করে। খোলা বইয়ের সঙ্গে সাদৃඣশ্যপূর্ণ ফটকটি দেশজুড়ে সব শিক্ষার্থীর জন্য জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির ইসলাম শার্জিল বলেন, আবেগ ও ভালোবাসার পথিকৃৎ বেরোবি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বারবার চোখে পড়ার মতো। কিন্তু প্রধান ফটক ছাড়া কেন জানি পূর্ণতা পাচ্ছে না। কেননা `প্রধান ফটক’ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, পরিচিতি, চিন্তা ভাবনা, মননশীলতার চিহ্ন বহন করে। এ💃কইভাবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে৷ পাশাপাশি প্রধান ফটক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নবজাগরণের বার্তা বহন করে।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রিফা ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যাল♈য়ের প্রধান ফটক আমাদের সকলের একটা স্বপ্ন। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর সেই পূরণ হতে যাচ্ছে। নতুন উপাচার্য স্যার আসার পর থেকেই, বিশ্ববিদ্যালয়ে সুবাতাস বইছে। স্যার আমাদের নিয়ে চিন্তা করেন আমাদের জন্য কাজ করেন। তিনি যা করবেন শিক্ষা বান্ধব কাজ করবেন।”
উপাচার্য প্রফেসর ড. মো শওকাত আলী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কিছু কাজ বাকি আছে। এ কাজগুলো চলতি সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি আনন্দঘন পরিবেশ♌ের মধ্যে দিয়ে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিতিতে গেটের উদ্বোধনের কাজ করব। গেট নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের যে আবেগ-উদ্দীপনা আছে, সেটা আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে এই নতুন গেইট বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুনভাবে পরিচিত লাভের ক্ষেত্রে একটা ভালো ভূমিকা রাখবে বলে সেই প্রত্যশায় রাখছি।”