এখন সবখানে যে প্রজন্মটি নিয়ে শোরগোল চল🅘ছে, তার নাম জেন-জি। বাংলাদেশে এবারের বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে এই চেনা প্রজন্ম ভিন্ন রূপে ধরা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বাংলাদেশে জেন-জির সফলতা এলেও বিশ্বব্যাপী ঋণসংকট বাড়াচ্ছে এই প্রজন্ম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা ১৯৯৬-এর পর থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নিয়েছেন তাদের জেন-জি বলা হয়। অন্যদিকে যারা ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে জন্ম নিয়েছেন তাদের বলা হয় মিলেনিয়ালস।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, অন্য যেকোনো প্রজন্মের চেয়ে দ্রুত ঋণ গ্রহণ করছে জেন-জি। ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন🔥্ট লোন নিয়ে তারা নিজেদের পকেট ভরে ফেলছে
মার্কিন অনলাইন আর্থিক পরিষেবা সংস্থা ক্রেডিট কার্মার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ও মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে জেন-জি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রজন্ম এমন একটি সমাজে বাস করছে যেখানে গতꦫ ১০ বছরে জীবনযাত্রার ব্যয় ৩২ শতাংশ বেড়েছে। এ কারণে অনেকেই খাবার ও বাসস্থানের জন্য অর্থ খরচ করতে পারছে না। এ জন্য ক্রেডিট কা♌র্ডের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহামারির আগে ২০১৮ সালে জেন-জির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ব্যয় করার ক্ষমতা ছিল ১৪৩ বিলিয়ন ডলার। এই প্রজন্ম এখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেছে। আর এই হিসাব অনুযায়ী, তাদের ব্যয় করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাওয়ার কথা ছিল। তবে করোনা মহামারির কারণে এই প্রজন্ম এন্ট্রি লেভেলের চাকরি করার সুযোগ হারিয়েছে এবং অন্যান্য পজিশনে চাকরি পেতেও তাদের কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। ফলে তাদের আর্থিক ব্যয়ের সক্ষমতা আশানুরূপ বাড়েনি।
মনস্তত্ত্ববিদরা বলছেন, জেন-জি প্রজন্ম করোনা মহামারির সময় থেকেই অস্থিরতায় ভুগছে। এর কಌারণে তাদের মধ্যে কিছু বদ অভ্যাস গড়ে উঠেছে। এতে ব্যয়ও বেড়েছে। এসব কারণে তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এটি জেন-জি প্রজন্মের জন্য আর্থিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলছে।