ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মাঠে মারামারি এবং এক শিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকির ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশে✤মুরবিপ্রবি)।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংജয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার দপ্তর জানানো হয়।
জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বনাম ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স(এফএমবি) বিভাগের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে মাঠের মধ্যে ফার্মেসী বিভাগ ও এফএমবি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে এই ঘটনা মাঠে সমাধান না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। শনিবার ১১ নভেম্বর দুপুরে শেখ রাসেল হলে গিয়ে মো. সাজ্জাদ হোসেন নামে এফএমবি বিভাগের এক শিক্ষারജ্থীকে ফার্মেসী বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রনি মৃধা ও তার সহযোগী কর্তৃক ছুড়িঘাত এবং বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠে। এবিষয়ে ঘটনার বিচার এবং নিরাপত্তা চেয়ে আহত সাজ্জাদ ঐদিন রাত সাড়ে ৭টা থেকে আমরন অনশনে বসে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি, শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট বডির আশ্বাসে সাজ্জাদ অনশন ত্যাগ করে।
ঘটনায় ৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ডীন ড. মো. হাসিবুর রহমানকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মঙ্গলবার (২১নভেম্বর) তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বুধবার (২২ নভেম্বর) শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়৷ সভায় ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ জড়িত ২ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য এবং আরও ২ শিক্ষার্থী ২ সেম🌳িস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
আজীবন বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন ফার্মেসী বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ༒রনি মৃধা এবং ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল আহম্মেদ সাকিব৷ অন🥀্যদিকে সেমিস্টার বহিস্কৃতরা হলেন, ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম সাগর এবং ফার্মেসী বিভাগ শিক্ষার্থী আবু হেনা।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজকে আমরা ওদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন ক🐟রেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্তের পর অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। তাই আমরা তাদেরকে ৭ কর্মদিবসের সময় দিয়েছি আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য। এর মধ্যে তাদের🍬 উত্তরের উপর নির্ভর করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।