কুড়িগ্রাম শহরের সবুজ পাড়া, পুরাতন পশুর মোড়, জিয়া বাজা𓄧র, দাদা মোড়, পৌরসভার সামনের সড়কসহ কুড়িগ্রাম থেকে সোনাহাট স্থল বন্দর যাওয়ার প্রায় ৫𝄹 কিলোমিটার সড়ক যেন মরণফাঁদে পরিণদ হয়েছে। খানা-খন্দের কারণে সড়কটিতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। এছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী যানবাহনগুলো সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে এ পথে চলাচল করছে। অতি♐রিক্ত যানবাহন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চলাচলের কারণে সড়কের পাথর ও বিটুমিন উঠে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ৫ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ জায়গায় জমে থাকছে পানি। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলি। বেশিরভাগ সময় সড়কে যানবাহন আটকে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী ট্রাকচালক ইস🦩মাইল হোসেন বলেন, “নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সড়কের পিচ উঠে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আ🍃মার গাড়ি দুইবার পড়ে গেছে এখানে।”
রিকশাচালক দুলু মিয়া বলেন, “এক মাস ধরে রাস্তার এই অবস্থা। কট্টি পানি, কট্টি খাল বোঝা যায় না। জীꦿবন ধরি চলা নাগে, খাল হয়া গেইছে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী নূর ইসলাম বলেন, “আমার দোকানের সামনে খাল হয়া গেইছে। বাধ্য হয়ে বাসা থেকে ইট আনি দিছি, দুই দিন পরে ইট ভাঙি সেই খাল, খালে হইছে। আমরা🐎 দ্রুত রাস্তা ঠিক করার দাবি করছি।”
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী 🧸প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “বৃষ্টি চলছে, এমন অবস্থায় টেকসই কাজ করা মুশকিল। জনগণের কষ্ট লাঘবে আপাতত ইট বালু ফেলে গর্তগুলো পূরণ করা হবে।”
কুড়িগ্রাম পৌরসভার প্রশাসক উত্তম কুমার রায় বলেন, “রাস্তাগুলো সংস্কারের আবেদন জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্ত💮ৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি।”