• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১,

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


তিস্তার পানি ঢুকেছে ফসলি জমিতে


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
তিস্তার পানি ঢুকেছে ফসলি জমিতে

উজানের অব্যা♏হত ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। দেখা দিয়েছে বন্যা। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়েছে। 

শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার মাত্র ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি প্রবাহ কমে একই পয়েন্টে সকাল ৯টা থেকে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়েꦉ প্রবাহিত হচ্ছে। তবে একই সময় তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার মাত্র ২৫ সেন্টিমিটার নিচে। এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে,  বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় দেশে🦩র বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। পরে রাতে পানি প্রবাহ আরও বৃদ্꧂ধি পায়। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড🎶ꦍের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর তিস্তায় সেই পানি প্রবেশ করায় নদীতীরবর্তী কিছু কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। তবে শুক্রবার সকাল থেকে সেই পানি আবার কমে যাচ্ছে।  

এদিকে,  তিস্তায় পা⭕নি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট   সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এসব ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী চরের বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলী জমিতে পানি প্রবেশ করেছে। তবে পানি আবার নেমে যেতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরে এসেছে কৃষকদের মাঝে।

তিস্তা দোয়ানী গ্রামের কৃষকরা বলেন, “ভারতে বন্যা হয়েছে। ওই পানি যদি আমাদের বাংলাদেশের দিকে ছাড়ে তখন আমাদের একালায় বন্যা দেখা দেবে। এতে অনেক ক্ষতি হবে। যখ♏ন পানি চাই  তখন পাই না, বর্ষাকালে আমরা পানি দিয়ে  কি করব!” 

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উজানের পানি ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে প্রবেশ করলে আমাদের বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দেবে। 
 

Link copied!