নাটোরের লালপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ෴ ও ধর্ষণের দায়ে মো. সুমন আলী (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড ও মো. রফিকুল ইসলাম নামের (৪৫) অপর সহযোগীকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুর🧸ে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সুমন আলী নাটোরের লালপুর উপজেলার পোকন্দা গ্রামের বাসিন্দা ও রফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের ত🀅াড়াশ উপজেলার ধানকুন্টি গ্রামের বাসিন্দা।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দিয়♚েছেন আদালত। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ১০ম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী (১৫) বাড়িতে পড়ালেখা করছিলেন। এ সময় সুমন একটি মাইক্রোবাস নিয়ে বাড়ির সামনে যান। পরে সুমন ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন বাড়িতে ঢুকে জোর করে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে তাড়াশ উপজেলার ধানকুন্টি গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে সুমনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লালপুর থানার উপপরিদর💙্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী আদালতে জবানবন্দি দেন। একই সঙ্গে ডাক্তারি পরীক্ষায় তাকে নির্যাতনসহ ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১০ মে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।