বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের আন্দোলনের মুখে তিন দিনের ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ছাড়লেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক♍ এস এম রফিকুল ইসলাম।
রোববার (১৮ ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚআগস্ট) দু𒀰পুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসকের দুর্নীতি, দলীয়করণ, ঘুষ–বাণিজ্য ও অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য পাচারের অভিযোগ এনে তার কার্যালয় ঘেরাও করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসক এস এജম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিয🧜োগ তুলে ধরেন। ছাত্রদের তোপের মুখে তিনি ৩ দিনের ছুটির আবেদন করে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
এরপর ছাত্ররা ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আজিম উল আহসানের সঙ্গে দেখা করে সদর সার্কেলে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও সদর থানার এসআই ফরিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাদের অপসারণের দাবি জানান। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ঝিনাইদহ থেকে সরিয়ে দ༺েওয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপদেষ্টা সাকিব আল হাসান, সমন্বয়ক আবু হুরায়রা, সাইদুর রহমান, এলমা খাতুন, রত্না খাতুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এস এম সোমেনুজ্জামান, 🐟সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ, ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন ও বখতিয়ার মাহমুদসহ অনেকে উপস্থ🐠িত ছিলেন।
আবু হুরায়রা বলেন, “এস এম রফিকুল ইসলাম ২০২৩ সালের ৩ এপ্রিল ঝিনাইদহে জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে দুর্নীতি, দলীয়করণ, ঘুষ-বাণিজ্য করে আসছিলেন। ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল, কালেক্টরেট স্কুলে শꩵিক্ষক নিয়োগসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য নানাভাবে পাচার করছিলেন। এসব বিষ❀য়ে তাদের কাছে অভিযোগ থাকায় তারা ওই কর্মকর্তার অপসারণ চেয়েছেন।”
হুরায়রা আরও বলেন, এ ছাড়া পুলিশের দুই কর্মকর্তা সব সময় ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ আছে। এ কারণে 🎃ꦜতাদেরও অপসারণ দাবি করেছেন ছাত্র-জনতা।
এ বিষয়ে বক্তব্যের 🍎জন্য জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলামের মোবাইলে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ গণমাধ্যমকে বলেন, জেলা প্রশাসক ৩ দিনের ছুটি চেয়ে কমিশনারের কাছে আবেদন দিয়ে চলে গেছেন।