রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সী বাজার কাউলজানি এলাকায় পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের ভাঙনে বিলীন হয়েছে ওই এলাকার বেꦉশ কয়েকটি বসতবাড়িসহ প্♚রায় ৫০০ মিটার ফসলি জমি।
ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে মুন্সী বাজার কাউলজানি এলাকার ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজার, মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থানসহ কয়ে🦂কশ বসতবাড়ি।
ꦦরাজবাড়ীর ৪ উপজেলার ৫৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে পদ্মা নদীর ডান তীর। প্রতিবছরই পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয় শতশত বিঘা ফসলি জমি, বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা। এ বছর রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও দেবগ্রামসহ রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নে ভাঙন দেখা দিলেও এখনও শুরু হয়নি জরুরি আপদকালীন কোনো বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফ♛েলার কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাউলজানি নদী তীরবর্তী এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং𝔉 আরও কয়েকটি পরিবার বাড়ি ভাঙার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশের ফসলি মাঠে শুরু হয়েছে ভাঙন।
স্থানীয় হাফিজুল সরদার, লিটন মোল্লা, আতর আলী শেখ বলেন, তাদের মাঠে কাজ করে কোনো রকমে সংসার চলে। এই নদীর পাড়ে তাদের বাড়ি। কয়েকবার নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখানে এসে বাড়ি করেছেন। এখন নতুন করে ভাঙা শুরু হয়েছে, যার কারণে ♍কয়েকটি বাড়ি ভেঙে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে আবারো বাড়ি ভেঙে সরিয়ে নিতে হবে। এছাড়া এই এলাকায় তিনটি স্কুল রয়েছে, যা ভাঙলে বাচ্চাদের পড়াশুনার ক্ষতি হবে। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া অন্য জায়গায় তাদের কোনো জায়গা-জমিও নেই।
স্কুলশিক্ষক ইসমাইল হোসেন বলেন, এই এলাকায় ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ꦺনদীর সবচয়ে কাছে বেথুরী স্কুল। গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে নদীভাঙন শুরু হয়েছে, এভাবে ভাঙতে থাকলে ওই স্কুল নদীগর্ভে যেতে সময় লাগবে মাত্র ওকয়েকদিন।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এম এ শামীম বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওই এলাকার প্রায় ২০০ মিটার নদীর তীরে ভাঙন রয়েছে। নি⛎র্দেশনা পেলে ভাঙন রোধে ꦫপ্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।