ফেনীর পরশুরামের শালধর এলাকায় মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এদিꦫকে ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর একটি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে।
দুদিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। এর ফলে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জুলাইয়ে সৃষ্ট বন্যার ꧋ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আবারও বন্যার কবলে পড়েছে এই দুই উপজেলার হাজারও মানুষ।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরশুরামের শালধর এলাকায় মু𒐪হুরী নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে উপজেলার চিথলিয়া, বক্স মাহমুদ, মির্জানগর ও পৌর এলাকা♔সহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
একই দিন দুপুরে ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর একটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ইউন🥃িয়নে তিনটি, আমজাদ হাট ইউনিয়নে পাঁচটি ও মুন্সিরহাট ইউন♏িয়নে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব এলাকার বিভিন্ন সড়ক, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ফুলগাজী উপজেলায় এক হাজার এবং পরশ🏅ুরাম উপজেলায় দুই হাজার চ🌟ারশ’জন পানিবন্দি রয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ꦯড বন্যা পরবর্তী ভাঙনকৃত স্থানগুলো নামমাত্র মেরামত করায় আবারও ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বার বার ফুলগাজী ও পরশুর🍨ামের মানুষ নদীর বাঁধ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা🌼র🍌 দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ২৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা 𓂃প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধপ্তরের তথ্যমতে ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬ মিলিমিটা🦄র বৃষ্টিপাত রে♊কর্ড করা হয়েছে।