নোয়াখাল🏅ীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এক দুর্গম চরে মা ও তার ডিভোর্সী মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ দুই যুবককে আটক করেছে।
ঘটনাট🀅ি নিয়ে কোম্পানিগঞ্জ থানায় মৌখিক অভিযোগের পর শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতেই অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন চর এলাহী ইউনি𓆏য়নের বাসিন্দা হাসান ও হারুন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গা⛎জী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। নির্যাতিত নারী ও তার মেয়েকেও থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ওসি আরও জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের বিষয়🔯ট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাতে চর এলাহী ইউনিয়নের দুর্গম এক চরে মা🐽 ও মেয়েকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে প্রথমে ঘটনা খুলে বলেন ভুক্তভোগী। তবে কোনো প্রতিকার না পেয়ে পরে ঘটনাস্থল থেকে বহুদূরে কোম্পানিগঞ্জ থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ বলছে, নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী কাভার্ডভ্যান চালক🍬। তিনি চট্টগ্রামে গাড়ি চালান। চরএলাহী ইউনিয়নের দুর্গম চরে নিজের ডির্ভোসী মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ভুক্তভোগী নারী। তার দূর সম্পর্কের এক দেবর প্রায়ই সেখানে আসা-যাওয়া করতেন।
দুর্গম চরের সেই বাড়ির আশেপাশে কোনো বাড়ি না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম মা ও তার মেয়েকে সন্দেহ করতেন। সেই সন্দেহ থেকেই গত ২০ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে সেই ছয় যুবক মিলে ভুক🌃্তভোগী নারীর বাড়িতে ঢুকে পড়েন।
একপর্যায়ে যুবকেরা সেই নারীর ঘরের দ꧙রজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তার দেবরের (২১) হাত-পা বেঁধে ঘরে আ🙈টকে রাখে এবং নারীটি ও তার ডিভোর্সী মেয়েকে (২০) ঘর থেকে টেনে হিঁছড়ে বাহিরে নিয়ে যান অভিযুক্তরা।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, যুবকদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে হিঁছড়ে বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে যায় আর অন্য♕রা তার মেয়েকে ঘরের পাশে রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যাꦚয়। এরপর রাত তিনটা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ধরে পালাক্রমে মা-মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়।
ধর্ষণ শেষে বাড়িতে থাকা টাকাপয়সাসহ ঘরের জিনিসপত্র লুটꦰ করে নিয়ে যায় যুবকেরা। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায়, ঘটনাটি কাউকে জানালে🌼 তাদের হত্যা করা হবে। ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে জানান এবং বিচার দাবি করেন।
নির্যাতিতা নারী সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার পরদ🐈িন সকালে বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে বিচার চাইলে তারা টালবাহানা করতে থাকেন। পরে বাধ্য হয়ে তিনি ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে স্থানীয় চর বালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন। তখন পুলিশ পুরো ঘটনা শুনে ভুক্তভোগীকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় পাঠানো হবে বলে জানায়।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ করেন, তাদের মা মেয়েকে🌌 সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সবাই চর এলাহী বিএনপির এক সাবেক নেতার (যিনি ৫ আগস্টে♒র পর খুন হয়েছেন) অনুসারী। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা তাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরেও বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী ফৌজুল আজিম জানান, মা ও মেয়ের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি শনিবার সন্ধ্যায় জানতে পেরেছেন। ভুক্তভোগীরা পুলিশ ক্যাম্পে যাওয়ার পর সেখান তিনি খবর জেনেছඣেন। পরে তিনি মা ও মেয়েকে থানায় পাঠাতে বলেন। থানায় এলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা বিএনপ🌼ির সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান বলেন, চর এলাহী ইউনিয়নে ধর্ষণের ঘটনাটা তিনি শুনেছেন। তবে কে বা কারা জড়িত, সেটি জানেন না। তবে যারাই জড়🐻িত থাকুক, পুলিশ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই আইনগত ব্যবস্থা নেবে।