ময়মনসিংহে জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে আইনজীবী ও কাউন্সিলরসহ ৯ 🍌জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
মঙꦯ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ܫতাদের জুয়া আইনের মামলায় আদালতে পাঠিয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
এর আগে সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে সদর উপজেলা ও গৌরীপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাচারি বাজার সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের তীর থেকে এই ও✨য়ান-টেন জুয়ার আসরে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা জুয়াড়িদের বহনকারী একটি পাজারো ও ২টি প্রাইভেটকার গাড়ি ও জুয়া সামগ্রী জব্দ করা হয়। এসময়ꦗ আসরের পরিচালক গৌরীপুর উপজেলার ৯ নম্বর ভাংনামারী ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেনসহ কয়েকজনপালিয়ে যান। তবে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় অভিযানিক দল।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী কায়কোবাদ হোসꦚনে (৪৯), জামালপুর পৌরসভার ৮নং ওর্য়াডরে কাউন্সলির মাসুদ করিম (৫৫), মর্তুজা রেজা (৬৭), অরুন খান (৪৫), মোজাম্মেল (৫৫), মফিজুর রহমান (৫২), রুহুল আমিন (৫২), মোফাজ্জল হোসেন (৬০) ও রতন মন্ডল (৩২)⛄।
ౠকোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান, গৌরীপুর উপজেলা তাঁতি লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মফিদুল ইসলাম র্দীঘদিন ধরে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী নদী সংলগ্ন একটি দুর্গম এলাকায় এই জুয়ার আসরটি চালিয়ে আসছিলেন। তবে গত ৫ আগস্টের পর মফিদুল ইসলাম ভারতে পালিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে তার বড় ভাই গৌরীপুর উপজেলার ৯ নম্বর ভাংনামারী ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেন এই জুয়ার আসরটি পরিচালনা করে আসছিলেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে একাধিকবার থানা পুলিশ অভিযান চালালেও বন্ধ হয়নি জুয়ার আসর। সর্বশেষ গোপন সংবাদে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে জুয়াড়িদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা পেশাদার জুয়াড়ি বলে জানা গেছে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় জুয়া♊র আসরের পরিচালক মোজাম্মেলসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তার অভিযান চলমান আছে।