সন্ধ্যার পর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ।ܫ রাত পেরিয়ে সকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে যেন শীতের তীব্রতা আরও ব💝েড়েছে। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে তীব্র হিমেল হাওয়া। ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দেওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন।
টানা চার দিন ধরে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা নেই বললেই চলে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাজে🐻 বেꩵর হতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষেরা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউই। রাস্তাঘাটে কমে গেছে যানবাহনও।
শুক🎀্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
জেলার আবহাওয়♔া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ঘন কুয়াশার এ দাপট আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকবে। যার ফলে সূর্যের দেখা পাওয়া কষ্টকর হবে। আগামী সপ্তাহে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে 🧸পারে।
এদিকে তীব্র ঠান্ডার কারণে বেড়েছে সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ঠান্ডাজনিত রোগ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক লোকজন বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সংღখ্যাও। রোগীদের বাড়তি চাপ সামলাতে হচ্ছে হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদের। শয্যা সংকটে হাসপাতালের মেঝেতেও চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই।
হ💧াসপাতালের কর্তব্যরত নার্স মোছা. জুলেখা বেগম বলেন,’গত তিন দিনে হাসপাতালের শিশুবিভাগে আর ডায়রিয়া ওর্য়াডে নতুন অনেক রোগীর ভর্তি আছে। ঠান্ডার কারণে রোগ বাড়ায় আমাদের প্রতিদিন রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে।’
চিকিৎসা নিতে আসা অভিভাবক মো. ফরিদ শেখ বলেন, “আমার দেড় বছরের বাচ্চাটা গত কাল সন্ধার পর থেকে সর্দি আর ব꧟মি করছে। সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম, চিকিৎসা চলছে।”
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, হঠাৎ করেই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংไখ্যা বেড়ে গেছে। চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে, বি🐠শেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা লাগানো একেবারেই যাবে না। হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন অধিকাংশই চরাঞ্চলের মানুষ। গরম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।’
১ মাস আগে সরকারিভাবে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম। মানুষজন গরম পোশাকের অভাবে সড়কের♊ পাশে খড়কুঁটো জ্বালিয়ে একটু শ𓆏ীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও প📖ুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, “ইতিমধ্যে জেলার ৯ উপজেলায় ৪২ হাজারের বেশি কম্বল বিতরন করা হয়েছে। আপাতত আমাদের কাছে কোনো মজুত নেই। আমরা ৩০ হাজার কম্বল চাহিদা পাঠিয়েছি।”