ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়ে এতিমখানায় ঠাঁই হয় সুমন রানার। এতিমখানায়ই তার বেড়ে ওঠা। বাবা হারালেও মনোবল হারায়নি সে। দারিদ্র্য আর কষ্ট দম൩াতে পারেনি তাকে। সুমন এ বছর পঞ্চগড় সদরের হাফিজাবাদ ইউনিয়নের মাঘই পানিমাছ পুকুরি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সুমন রানার বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের মাদারিপাড়া গ্রামে। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছে, থাকা হয়নি মায়ের কাছেও। বেড়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের একটি শিশু নগরীতে। সেখান থেকে এবার এসএসসি পাশ করেছে সে। পেয়েছে জিপিএ-৫। বাবার মৃত্যু পর থেকে সে স্বপ্ন দেখছে ব✱ড় হয়ে ডাক্তার হবে।
সোমবার (১৩ মে) বিকেলে আহছানিয়া শিশু মিশনে কথা হয় সুমন রানার সঙ্গে। জিপিএ-৫ অর্জনে উচ্ছ্বসিত সুমন। সে বলেছে, “ছোটবেলা থেকেই এই মিশনে🧸 আছি। এটাই আমার বাসস্থান। এখান থেকে প্রাথমিক শেষ করে মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছি। প্রাথমিকেও জিপিএ-৫ ছিল আমার।”
সুমন রা🥀না বেড়ে উঠেছে আহছানিয়া মিশন শিশু নগরীতে। এই শিশু নগরীটি হাফিজাবাদ ইউনিয়নের জলাপা🐠ড়া গ্রামে অবস্থিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জন্মের পরপরই সুমন রানার কৃষক বাবা হাসমত আলী মারা যান। শুরু হয় পরিবারে টানাপোড়েন। ৭ সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন মা খো🐽দেজা বেওয়া। থাকতে হতো খেয়ে না খেয়ে। সন্তানদের পড়ালেখা তো ছিল কল্পনাতীত। সুমনের বয়স যখন ৭ বছর তখন এক সমাজকর্মীর মাধ্যমে এই মিশনে ঠাঁই হয় তার।
সুমন বলে, “এই শিশু নগরীতে ঠাঁইཧ না হলে পড়ালেখা অসম্ভব ছিলো। মিশন কর্তৃপক্ষ এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যথেষ্ট আন্তরিকতা ছিল বলেই আজকে আমি এই ফলাফল অর্জনে সক্ষম হয়েছি। আমার স্বপ্ন ভবিষ্যতে আমি চিকিৎসক হয়ে অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই।”
মাঘই পানিমাছ পুকুরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লিয়ন প্রধান বলেন, “সুমন রানা এক অসম্ভব মেধাবী। এই শিক্ষার্থী বরাবরই ক্লাসে ফার্স্ট ছিলো এবং শেষটাও ভালো করেছে। সুমন রানা অন্য শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা হতে পারে।”