টানা ১১ দিন ধরে দ্বিতীয় ধাপের বন্যায় জলমগ্ন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল। এর মধ্যে জেলার প্রধান সব নদ-নদীর পানি 🃏বুধবার দুপুরের পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে। ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় ধরলা নদীর তীরবর্তী ভোগডাঙ্গা, পাঁছগাছি ও শুলকুর বাজার এলাকার বেশ কয়েকটি পাকা সড়ক ডুবে গেছে। এসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
এরই মধ্যে আজ (১১ জুলাই) সকালে নতুন করে ধরলার পানির স্রোতে ধরলা সেতুর পূর্বদিকের ৩০ মিটারের সংযোগ সড়কের ১৫ মিটার ধসে গেছে। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ি ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সঙ্গে সড়কপথের যোগাযোগ বন্ধ ছিলো। দুপুরের পর জেলা সড়ক বিভাগ থেকে দ্রুত মেরামত করায় আংশিকভাবে ধীর গতিতে য𓂃ান চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আবু মিয়া বলেন, “সকাল সাড়ে ৭টার দিক দোকান খুলতে এসে দেখি ব্রিজের সংযোগে🐻র মাথায় ধরলার পানিতে ভেঙে খাল হয়ে গেছে। এ সময় ব্রিজের ওপর দিয়ে গাড়ি চলা বন্ধ ছিলো।”
ট্রাকচালক হজরত আলী বলেন, “সকাল পৌনে ꦆ১০টার দিক ব্রিজের এই মাথায় টোল দিয়া দাঁড়ায় ছিলাম। যাবো সোনাহাট বন্দর পাথর আনতে। ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ১২টার পরে গাড়ি ছাড়ছি।”
জেলা💯 ছাত্রলীগের সভাপতি🎐 রাজু আহমেদ বলেন, “কুড়িগ্রামে সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সকালে ব্রিজের পানি দেখার জন্য গিয়ে দেখি ব্রিজের পূর্বদিকটা ধসে গেছে। পরে সড়ক বিভাগকে জানানোর পর দ্রুত মেরামতে কাজ শুরু করে।”
জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোꦬ. নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার পর দ্রুত ধসে যাওয়া অংশ মেরামতে কাজ করছি। চওড়া ৫ ফিট ও লম্বায় ১৫ মিটার ধসে গেছে। আপাতত বালু ও খোয়া ফেলে ধীর গতিতে যান চলাচলের জন্য মেরামত করা হচ্ছে। বর্ষার মৌসুম পার হলেই স্থায়ীভাবে মেরামত করা হবে।”