মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় বাঁশবাগানের মধ্যে অগভীর খালের ওপর ৪০ 🍨লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে একটি সেতু। এতে সুবিধার পরিবর্তে অসুবিধায় পড়েছেন꧑ স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের নিষেধ করার পরও তারা এখানে সেতু নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বীর সিংজুরী এলাকার মꦗাটির রাস্তার পাশে বাঁশ🅠ঝাড়ের আড়ালে পাঁচটি বাড়ির সীমানার মধ্যে ছোট একটি অগভীর খালের ওপর সেতুটি দাঁড়িয়ে আছে। দুই পাশে সংযোগ সড়ক তৈরির কোনো ব্যবস্থা নেই। সেতুটির দুই পাশে বড় বড় দুটি বাঁশঝাড়।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী কাজী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বাঁশঝাড়ের নিচে সেতু দিছে। আমরা সেতু দিতে মানা করেছিলাম, তাও মানে নাই। তারপরও জোর করে সেতু দিছে। এই সেতুর কোনো দরকার নাই ♋আমাগো।”
একই গ্রামের নি🍸লচাল মিয়া বলেন, “কয়েকটি বাড়ির জন্য সেতুটি নির্মাণ করেছিল। সেতুটি করা ঠিক ছিল যদি আরেকটু নিচু করত তাহলে। রাস্তা ছেড়ে প্রায় সাত ফুট উঁচু করেছে। মাটি দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। সেতুটি কোনো কাজেই আসছে𓆏 না।”
শরব আলী নামের আরেকজন বলেন, “এ🎶ইখানে সেতুটির কোনো দরকারই ছিল না। কোনো লাইন (রাস্তা) নাই, তবুও সেতুটি করল।”
সিংজুরী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আক্কাস আলী বলেন, “সেতুটি নিচু করে দিতে বলেছিলাম। চেয়ারম্যানকে দিয়েও প্রকল্প বাস্ﷺতবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) বলিয়েছিলাম। তারা বলেন, ‘আমাদের বিল আটকা যাইবো’। সামনে দুই ফুট ও পেছনে পাঁচ ফুট মাটি পড়বো।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিংজুরি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বীর সিংজুরী এলাকায় কৃষিজমিতে যাতায়াতের জন্য সেতু কালভার্ট প্রকল্পের আওতায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ চুক্তি হয় ঠিকাদ🅘ারি প্রতিষ্ঠান ইসাসা এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে। এরপর প্রতিষ্ঠানটি নিয়মবহির্ভূতভাবে সাব ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজটি সম্পন্ন করে।
তবে ঠিকাদারি প্রতি𓄧ষ্ঠানের নিয়োগ করা সাব ঠিকাদার মিজান বলেন, “আমাকে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছে অফিস থেকে। ওয়ার্ক অর্ডারে যেখানে সেতুটি দেওয়ার কথা আমি সেখানেই করেছি। সংযোগ সড়কের বিষয়ে আমার কোনো মতামত নেই।”
এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ও﷽ই সেতুর কাজ এখনো শেষ হয়নি। এখনো ঠিকাদারের বিল দেওয়া হয়নি। কাজ শেষ হলে মানুষ সুবিধা পাবে।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা সুলতানা নাসরীন বলেন, “আমি এ বিষয়✨ে কিছু জানি না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। সরেজমিন বিষয়টি দেখব।”