ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তমা মির𒊎্জা। চলতি বছর তার দুই হাত ভরে ধরা দিয়েছে সাফল্য। তমার সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। ‘সংবাদ প্রকাশে🦹র’ সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (৩০ জুলাই) ঢাকার ‘মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তমা মির্জা। সাফল্যের এই দিনে তার সঙ্🧸গে ছিলেন বাবা-মা ও ভাই। অবশ্য অফিশিয়ালি এখন গ্র্যাজুয়েট হলেও তমার স্নাতক সম্পন্ন হয়েছে ২০১৮ সালে।
এদিকে তমা তার এই অর্জনের নাম দিয়েছ🥃েন ‘অফিশিয়ালি গ্র্যাজুয়েট’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তমা লিখেছেন “তুমি যদি 🅺স্বপ্ন দেখ, তবে তুমি এটা করতে পারবে। সব গ্র্যাজুয়েটকে অভিনন্দন।”
অফিশিয়ালি গ্র্যাজুয়েট হয়ে কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তমা বলেন, “দীর্ঘদিন এই দি🎀নটির প্রতীক্ষাতেই ছিলাম। আমি আমার ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট। আমার পরিবার-শিক্ষকরাও আমার এই অর্জনে ভীষণ খুশি।🍌”
আগামীতে আইন পেশায় যাওয়ার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “আইন বিষয়ে পড়াশোনা করলেও এখনই আইনপেশায় জড়ানোর কোনো ইচ্ছে নেই। বর্তমানে অভিনয় নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। এটা আমার কাছে সোনালি সময়ের মতো। আমি কাজের প্রতি💝 আরও মনোযোগী হতে চাই। তবে, যেহেতু আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছি, আগামীতে এই পেশায় যাওয়ার অপশন আছেই।”
গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হওয়ার পেছনে অবদার বেশি কার ছিল? এমন প্রশ্নের উত্তরে তমা বলেন, “আমি ২০১৮ 🐎সালে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছি। ওই সময় মাঝেমধ্যেই ভেঙে পড়তাম। আমার নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হত। বন্ধুবান্ধব, শিক্ষক আশপাশের সবা🐬ই খুব সহযোগীতা করেছে। আর বিশেষ করে আমার বাবা-মা। তাদের ইচ্ছা ছিল, আমি অন্তত গ্র্যাজুয়েশন শেষ করব, এরপর যেদিকে নিজের পেশা হিসাবে যায়। আজ আমি অনেক খুশি, আমি আমার আব্বু-আম্মুর স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি।”
এ সময় তমা মির্জা আরও বলেন, “সুড়ঙ্গ রিলিজ হও💧য়ার সময় যে পরিমাণ খুশি ছিলাম, তার থেকে বেশি খুশি হয়েছি গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে।”
ঈদুল আজহায় মুকღ্তিপ্রাপ্ত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমা এখনো সফলতার সঙ্গে দেশ-বিদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে চলছে। এতে তমা𝔍 মির্জার ‘ময়না’ চরিত্রটি দর্শক-সমালোচক মহলে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। রায়হান রাফী পরিচালিত এই সিনেমায় তমার বিপরীতে নায়ক চরিত্রে ছিলেন আফরান নিশো। চরকি ও আলফা আইয়ের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।