বাংলা সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও স্বাধীনতার আগে উর্দু সিনেমাতে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের সিনেমা ই♍ন্ডাস্ট্রিতে সব পুরস্কার ও স্বীকৃতিও অর্জন করেন এই অভিনেত্রী।
১৯৫৮ সালে বাংলা ভাষায় ক্যারিয়ার শুরু করা এই অভিনেত্রীকে সবশেষ দেখা গেছে ১৯৯৯ সালে ‘আম্মা▨জান’ সিনেমায়। এরপর দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে একটি নতুন সিনেমাতে অভিনয়ের অপেক্ষায় 🌊আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়িকা শবনম। তবে ভালো গল্প পেলে এখনো দেশের সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছা আছে বলে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এই কিংবদন্তি।
বরেণ্য এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আর কোনোদিন সিনেমাতে অভিনয় করব কি না, জানি না। তবে ইচ্ছা তো আছেই, গল্প মৌলিক হলে ভেবে দেখব। দেখতে দেখতে ৭৭টি বছর পার করে দিলাম, ৭৮ বছর চলছে। অথচ এখনো মনে হয় এই তো সেদিনের কথা, বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটছে, স্কুলে যাচ্ছি, ফিল্ম করছি। আর এখন ভাবলে মনে হয় কত সময় চলℱে গেছে জীবন থেকে।’
এই নায়িকা বলেন,“জীবনের কত রূপ দেখেছি, নানান বয়স💝ে জীবনের সৌন্দর্যকে উপভোগ করেছি। কত কত মানুষের সঙ্গে পরিচয়, কত কিছু শিখেছি এক জীবনে, কত কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আবার হারিয়েছিও অনেক প্রিয়জন। সত্যি বলতে কী, মৃত্যু পর্যন্ত জীবন সুখ-দুঃখের খেলা। এখনো সুস্থ আছি, ভালো আছি—এটাই কম কীসের। বয়স তো আর কম হলো না। সবার দোয়া ও ভালোবাসা চাই।”
শবনম ছয় দশকের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে শবনম পাকিস্তানে সর্বোচ্চ তিনবার জাতীয় চলচꩲ্চিত্র পুরস্কার এবং ▨১৩বার সর্বোচ্চ নিগার জয় করে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন। দেশটির সিনেমায় তার অবদান এতটাই যে, সেখানে ‘মহানায়িকা’ বলা হয় তাকে।
শবনম অভিনীত সিনেমার তালিকায় রয়েছে, ‘হারানো দিন’, ‘চান্দা’, ‘তালাশ’, ‘নাচের পুতুল’-এর নায়িকা হিসেবেই বেশি চিনতেন। তারপর অবশ্য বাংলাদেশের ‘সন্ধি’, ‘শর্ত’, ‘সহধর্মি🎃নী’, ‘যোগাযোগ’, ‘জুলি’, ‘বশিরা’, ‘দিল’সহ আরও অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেছে🐽ন তিনি।