রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সালিশ বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিসহ অন্তত ২০ জন আহ🔯ত হয়েছেন।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার নারুয়া 🧸ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলার বিলটাকাপোড়া গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে ও নারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন (৫৫), তার ভাই হুমায়ন কবির (৪২), বাচ্চু মোল্লার ছেলে ফরহাদ মোল্লা (৩৮), আলমগীর হোসেনের ছেলে রাশেদুল মোল্লা (২৫), আজিজুল মণ্ডলের ছেলে নাসির মণ্ডল (৪৫), কফিল উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম (৬৫), মজিবর রহ🦋মানের ছেলে বাবলুসহ (৩৫) অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া গ্রাဣমের বাসিন্দা ইꦜউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেনের স্কুলপড়ূয়া মেয়ে একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে সাব্বিরের (১৮) সঙ্গে পালিয়ে চলে যায়। পরে তারা বাড়ি ফিরে যার যার পরিবারের কাছে চলে যায়।
২০২৪ সালে পুনরায় তারা পালিয়♌ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে। এরপর মেয়ের বাবা ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বালিয়াকান্দি থান🐟ায় একটি অপহরণ মামলা করেন। গত ৪ মার্চ রাতে ওই ছেলে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বাড়িতে দেখা করতে যায়। তখন মেয়ের বাবা মো. আলমগীর হোসেন ও তার ভাই তুহিন, হুমায়ুন ও ছেলে রাশেদুল মিলে সাব্বির নামে ওই ছেলেকে আটক করে বেধড়ক মারধর ও একটি খেলনা পিস্তলসহ গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। একপর্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত সাব্বিরকে উদ্ধার করে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনা মীমাংসার জন্য রোববার দুপুরে নারুয়ার বিলটাকাপোড়া ঈদগাহ মাঠে বালিয়াকান্দি উপজেলা 🌠ও ইউনিয়ন বিএনপি নেতাদের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠক বসে। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্🍸মকর্তা (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন বলেন, শালিসের মধ্যে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ঘটনায় এখন ꦐপর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।