মাদারীপুরের সদর উপজেলায় ২ ভাইসহ তিনজনকে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় নিহত সাইফুল-আতাউরের চাচা হোসেন সরদার ও প্রতিপ﷽ক্ষ শাজাহান খানসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়েꦫছে।
রোব𒉰বার (৯ মার্চ) সকালে নিহত সাইফুলের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় এই হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ🐷্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি বলেন, “মামলায় মোহাম্মদ শাহজাহান, মতিন মোল্লা, হোসেন শিকদারে♏র নাম রয়েছে। বাকিদের নাম আপাতত বলা যাচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যদের মোতায়েন রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।”
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সꦑরদারের সঙ্গে ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে বিরোধ ছিল একই এলাকার শাজাহান খানের। এরই জেরে শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বাড়ির সামনে একা পেয়ে শাজাহান তার লোকজন নিয়ে সাইফুলের ওপর হামলা চালায়। প্রাণে বাঁচতে সাইফুল সরদারবাড়ি জামে মসজিদের ভেত🍸রে প্রবেশ করেন। তাকে রক্ষায় সাইফুলের বড় ভাই আতাউরসহ অন্যরা এগিয়ে আসেন। এ সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাইফুল ও তার ভাই আতাউরকে।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। পরে আহত অবস্থায় ৫ জনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাইফুলের চাচাতো ভাই পলাশ স🎃র🎀দার।
এছাড়া হত্যাকাণ্ডের পর নিহতদের ঘ𓆏রবাড়ি লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকা🍰রীরা। এতে নিহতদের তিনটি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।