• ঢাকা
  • শনিবার, ০১ মার্চ, ২০২৫, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩০, ২৯ শা'বান ১৪৪৬

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Songbad Prokash

ইনস্টাগ্রাম

টুইটার


লিংকডইন

পিন্টারেস্ট

গুগল নিউজ


প্রতিবাদী গান গেয়ে পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছিলেন আজম খান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৩:৪৬ পিএম
প্রতিবাদী গান গেয়ে পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছিলেন আজম খান
গায়ক আজম খান। ছবি: সংগৃহীত

কিংবদন্তিতুল্য গায়ক আজম খানের জন্মদিন শুক্রবার (২৮ ফেব্রু🐻য়ারি)। ১৯৫০ সালের এমন দিনে তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন।

গান গেয়ে সব শ্রেণির শ্রোতাদের মাত করা পপ তারকা রাজধানীর আজিমপুরের ১০ নম্বর কলোনিতে জন্মেছিলেন। তার শৈশব কেটেছে আজিমপুর ও কমলাপুরে। শৈশব-কৈশোরের দিনগুলো পেরোনোর সময় ভাষা আন্দোলনের উত্তাপ তার গায়ে লেগেছিল। এ বিষয়টি শিল্পীর গানের অঙ্গনে আসার ব্যাপারে প্রভাব রেখেছে। সেই বয়সে ঘরের জানালার বাইরে দেখেছেন মায়ের ভাষা বাংলার জন্য মানুষের সুতীব্র দাবির জনসমাবেশ। সেই সময়ে ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ এমন গান তাকে আলোড়িত করেছে। স্কুলের প𒀰িটিতে সবার সঙ্গে গান পরিবেশཧন করতেন। এসব গান মনে রাখতে পারতেন আজম খান।

অসাধারণ প💟্রতিভাধর মানুষ ছিলেন আজম খান। একবার শোনার পর যে গান ভালো লাগতে সেটাই কয়েকবার শুনতেন। এভাবে প্রিয় গানগুলো পরে হুবহু গাইতে পার꧑তেন। এক সাক্ষাৎকারে আজম খান বলেছিলেন, ‘আমি গান শুনে হুবহু গাইতে পারতাম। অনেকের কাছে এটা বিস্ময়কর ছিল। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান, আবদুল আলিম, শ্যামলের গান তাদের মতো করেই গাইতাম। পরে মহল্লার বন্ধু-সমবয়সীদের সঙ্গে আড্ডায় বানিয়ে গান গাইতাম। এভাবেই একদিন গানের দিকে ঝুঁকে পড়ি। গানের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আমার ছিল না।

আজম খান ক্লাস নাইনের ছাত্রাবস্থায় অনুধাবন করতে পেরেছিলেন পাকিস্তানি শাসকরা বিভিন্নভাবে দেশের মানুষকে অনেক নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এমন অনুভব শক্তি আজম খানকে বিপ্লবী চিন্🐽তার মানুষে পরিণত করে। সেই সময় তিনি জানতে পারেন ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর কথা। গণসংগীতের চর্চা করতেন এই শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা। বন্ধুদের সঙ্গে এই শিল্পীগোষ্ঠী সংগীত পরিবেশন করতে থাকেন আজম খান।

ধীরে ধীরে মানুষের প্রশংসা পাওয়ার পর এই শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়া শুরু করেন। তাদের সাধারণ মানুষের জীব⛎নের অভাব ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হতো গানে গানে। প্রতিবাদী গান গাওয়ার জন্য পুলিশের লাঠির বাড়িও খেয়েছেন আজম খান। গণ–আন্দোলনের সময়গুলোতেও গান করে গেছেন আজম খান।

আজম খান একজন বীর মুক্তꦅিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘দেখতে দেখতে দেশে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। পাকিস্তানি আর্মিদের গাড়ি দেখে দেওয়াল টপকে একবার আজিমপুর আবার কমলাপুর, এভাবে চলছিল। দেশের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা শুরু করে পাকিস্তানিরা। তখন মনে হলো মরছিই যখন, মেরেইཧ মরব।’

আজম খান ব🔥ন্ধুদের সঙ্গে পরিকল্পনা করে যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যে করেই হোক না কেন, দেশ স্বাধীন করতে হবে। একদিন সকালে মাকে বললেন, ‘আমি যুদ্ধে যেতে চাই।’ মা কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললেন, ‘তোর বাবাকে ব♐ল।’ তার বাবা ছিলেন গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ। আজম খান বাবাকে ভয় পেতেন।

কিন্তু মাতৃভূতিকে শত্রুমুক্ত করার স্বপ্ন যে মানুষ দেখতে পারে তাকে তো কোনো ভয় আকটাতে পারে না। সাহস সঞ্চয় করে বাবার কাছে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনার জন্য♕ যান। তারা এ কথা শুনে কিছু সময় চুপ করে থাকেন। এরপর বলেন, ‘যুদ্ধে যাবি যা, কিন্তু দেশ স্বাধীন করেই তবে ঘরেꦚ ফিরবি।’এরপর আর ঠেকায় কে। বাবাকে সালাম করে দুই বন্ধুকে নিয়ে ভারতে ট্রেনিংয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন আজম খান। সত্যিই বাবার কথা রাখতে পেরেছিলেন। দেশ স্বাধীন করেই ঘরে ফিরেছিলেন আজম খানরা।

আজম খানের গাওয়া অনে🧸ক জনপ্রিয় গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘এত সুন্দর দুনিয়ায়’, ‘অভিমানী’, ‘অনামিকা꧟’, ‘পাপড়ি’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আমি যারে চাইরে’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘ও চাঁদ সুন্দর’, ‘বাধা দিয়ো না’, ‘ও রে সালেকা ও রে মালেকা’ও ‘জীবনে কিছু পাব না রে’।

সব সময় আনন্দে থাকতে পছন্দ করতেন আজম খান। স♒দাহাস্য এ মানুষটি মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুর কাছে পরাজিত হন। ২০১১ সꦛালের ৫ জুন এ গায়ক অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীকে শোক সাগরে ভাসিয়ে অনন্তের পথে পাড়ি জমান।

Link copied!
JeetBuzz
৳1,077 Slot & Fishing Bonus
18+ | Play Responsibly | gamblingtherapy.org | T&Cs Apply
  • Industry-leading odds and gameplay
  • 24/7 professional customer service team
  • Diverse and rich promotional bonuses
Show More
Jeetbuzz - Where Bangladesh Bets and Wins! As the trusted and internationally recognized betting platform, we combine legal integrity with a thrilling variety of casino games to deliver the ultimate gaming experience for cricket enthusiasts. Join us for secure bets, unbeatable offers, and top-notch customer service that sets us apart