রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে ৮৮ হাজার দর্শকদের সামনে মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। ম্যাচে ৪-০ গোলের ব্যবধানে দাপুটে জয়ও তুলে নেয় স্প্যানিশ ক্লাবটি। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ঘটে বার্সা ক্লাবের ইতিহাসে মনে রাখার মতো ঘটনা। গাভিকে মাঠ থেকে তুলে নেন জাভি হার্নানেজ। তার বদলি হিসেবে মাঠে যে নামে তার চেহারায় তখনো কৈশোরের ছাপ সুস্পষ্ট। অবশ্য শুধু চেহারায় না, বয়সে তিনি কিশোরই। মাত্র ১৫ বছর ২৯০ দিনে বার্সার হয়ে অভিষেক হয়ে গেল লামিন ইয়ামালের।
মাঠে পদার্পণের পরেই বার্সেলোনার হয়ে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় ♕হিসেবে ইতিহাস গড়লেন এই সম্ভাবনাময় মরক্কোন বংশোদ্ভꦿুত স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
১৫ বছর বয়স হলেও মাঠে কৈশোরের কোনো ছাপ রাখেননি ইয়ামাল। মাঠে তার উপস্থিতি মাত্র মিনিট দশেকের। এই সময়েই নিজের পারফর্ম্যান্সের ছাপ রেখেছেন। পেতে পারত𓃲েন একটি গোলও। তবে প্রতিপক্ষের গোলকিপারের অসাধারণ দক্ষতায় গোলবঞ্চিত হন তিনি। অ্যাসিস্টেও থাকতে পারত তার নাম। তবে তার বাড়িয়ে দেওয়া ব𓆉ল ঠিকঠাক কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন উসমানে দেম্বেলে।
বার্সেলোনার ১২৪ বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামার রেকর্ড গড়লেন ইয়ামাল। এখানেই শেষ নয়। স্পেনের শীর্ষ꧅ ফুটবলে তার চেয়𓂃ে কম বয়সে ফুটবল খেলেছেন মাত্র চারজন।
২০০৭ সালের ১৩ জুলাই স্পেনেই জন্ম ইয়ামালের। তার বাবা মরক্কোর, মা ইকুয়েটোরিয়াল গিনির। বার্সেলোনার একাডেমিতে নিজের জাত চেনাচ্ছিল🤪েন তিনি। তার ড্রিবলিং, মাঠে কৌশল ও বাঁ পায়ের দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়ায়। জাভির চোখও এড়ায়নি এই প্রতিভার পারফর্ম্যান্স। তাই পেশাদার চুক্তির আগেই অভিষেক হয়ে গেল স্পেনের শীর্ষ প্রতিযোগিতায়।
ইয়ামাল স্পেনের অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলে ফেলেꦚছেন এরইমধ্যে। আক্রমণভাগে তার সরব উপস্থিতি প্রতিপক্ষের আতঙ্কের কারণ।
স্পেনের মাতারোতে মরক্কোর বাবা এবং মা গিনির হলেও ইয়ামাল তার সময়ের বেশিরভাগ কাটিয়েছেন বার্সেলোনায়। লা মাসিয়ার যুব র্যাঙ্কের মধ্যে ইয়ামালকে একাডেমির অন্যতম সেরা সম্ভাবনা হিসেবে দেখা হয়েছিল। জাভি অন্যান্য তরুণদের সাথে প্রথম🐠 দলের সাথে প্রশিক্ষণের জন্য ইয়ামালকে নির্বাচিত করেছিলেন। সেখানে তিনি অনুশীলনে তার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। অবশেষে ২৯ এপ্রিল দিনটাকে স্মরণীয় করে তার অভিষেক হলো বার্সেলোনার মূল🍌 দলে।
ইয়ামাল স্পেনের একজন যুব আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়। ২০২১ সালে তিনি স্পেনের অনূর্༺ধ্ব-১৬ দলের হয়ে ৪টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ১টি গোল আদায় করেছেন। ২০২২ সালে তিনি স্প্যানিশ অনূর্ধ্ব-১৫ দলের সাথেও খেলেছিলেন।
দুর্দান্ত ড্রিবলিং, পা🦄সিং এবং স্কোর করার ক্ষমতাসহ একজন বাঁ-পায়ের ফরোয়ার্ড ইয়ামাল। তিনি সেন্টার-ফরোয়ার্ড , আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার বা উইঙ্গার উভয়ই খেলতে সক্ষম । মোদ্দাকথা, আক্রমণভাগে তার আধিপত💟্য অতুলনীয়।
তার কৌশলের কারণে এখনই তাকে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও বার্সেলোনার সাবেক তারকা লিওনেল মেসির সাথে তুলনা করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বার্সা আরেক তারকা আনসু ফাতির সাথেও তাকে তুলনা করা হয়। অবশ্য বার্সা✱ কোচ জাভিও স্বীকার করেছেন, ইয়ামালের কৌশল মেসিদের মতোই। অচিরেই তিনি বার্সার প্রাণভোমরা হয়ে উঠ🐬বেন- বলাই বাহুল্য।