সৌদি আরবের বিপক্ষে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যা𓆉চেই হেরে গে🌠ল আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচের পর সৌদি কোচ হার্ভে রেনার্ড বলেছিলেন, ‘এই আর্জেন্টিনা ঘুরে দাঁড়াবে, বিশ্বকাপও জিতবে।`
এই ম্যাচের পর পরের ঘটনা সবার ই জানা। ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল লাতিন আমেরিকার ছোট দেশটি। গ্রুপ পর্ব থেকেই ‘নকআউট’ স্বাদ দিয়ে যা🎉চ্ছিল টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপের মূলমঞ্চে পা রাখা দলটি।
সমর্থকরাও যেন এবার ‘পঁচা শামুকে পা কাটা’ দলটির প্রতি জিতেই যাবে এই বিশ্বাস রাখতে পারছিল না। প্রতিটি 𒆙ম্যাচ, নতুন শঙ্কা- জিতবে তো আর্জেন্টিনা?
দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, কাতারই হতে যাচ্ছে তার জীবনের শেষ বিশ্বকাপ আসর। এরপর আর কখনো বিশ্বকাপের বড় আসরে দেখা যাবে না এই আর্জেন্টাইন জায়ান্টকে। তাই ভক্ত-সমর্থক তো বটেই, মেসির সতীর্থরাও চাইছিলেন, যে ফুটবলকে, আর্জেন্টিনাকে দꦦিয়েছে উজাড় করে, সেই মানুষের বিদায়টা হোক রঙিন, সোনালী ট্রফিতে ঝলমল করুক তার মুখ।ফুটবলকে🌃 যিনি ঋণী করেছেন, তার ঋণ শোধ করার এরচেয়ে ভালো সুযোগ আর কী হতে পারে?
আর্জেন্টিনা একেকটা ধাপ পার হচ্ছিল, প্রত্যাশাও যেমন বাড়ছিল, ভয়ও ছিল। এবার আবার পা হড়কাবে না তো? এবার আর্জেন্টিনা দলের সেরা সংযোজন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সার্জিও রোমেরোর ইনজুরির কারণে অনিয়মিত হয়ে পড়া আর্জেন্টিনার গোলবারকে নিরাপদহীন করে তুলেছিল। খোদ আর্জেন্টাইনরা মজা ক✃রেই বলত, “আমরা গোলকিপার ছাড়াই খেলি।ꦡ”
২০২১ সালের কোপা আমেরিকাতে দেখা গেল গ𒈔োলবারের নিচে ‘ডেডিকেটেড দিবুকে।` তার শরীরী ভাষাটাই অন্যরকম, যেন বল এলেই ঝাঁপিয়ে পড়বেন। মার্টিনেজের পায়ের অবাধ্য নড়াচড়া যে কোনো ফুটবলারকে ভড়কে দিতে পারে। ঠিক কোনদিকে ঝাঁপ দেবেন মার্টিনেজ?
আর্জেন্টিনার অদূর অতীতের ইতিহাস ভয়ের। ২০১৪ সাল থেকে মেসি টানা তিন ফাইনাল হেরেছেন। বিশ্বকাপ ও দুই কোপা শিরোপার কাছে গিয়েও হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু এবার যেন বিশ্বকাপের দাবি নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন। কে? মেসি? না, স্কোয়াডে থাকা বা🐟কি ২৫ জন।
অবাক লাগছে? আর্জেন্টিনা কোনো ম্যাচ হেরেꦰ গেলেই প্রচলিত একটা কথা ছিল, “মেসি একা কী করবে?” এবার আর্জেন্টিনা দলটা মেসিকে নির্ভর করে খেলেনি, বরং মেসির জন্য খেলেছে। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, রদ্রিগো ডি পল, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, পারেদেস, নবাগত জুলিয়ান আলভারেজ, এনজো ফার্নান্দেজ সবাই যেন সোনালি ট্রফিটা মেসির হাতে তুলে দিতে মরিয়াই ছিলেন।
অবশেষে, তাই হলো। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে দিলো আর্জেন্টিনা। মেসির সতীর্থরা যেন ফুটবলের মেসির কাছে ঋণ পরিশোধ করার গুরুদায়িত্বটাই পালন করলেন ঠিকঠাক।