কাতার বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ কেন একই সময়ে?

ফারজানা ববি প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২২, ০৮:২৪ পিএম

ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ সালের সংস্করণের প্রথম ♍ধাপ শেষ হওয়ার পথে। ৩২ দল থেকে কমে মা꧙ত্র ১৬ দল সেরা ষোলোতে জায়গা করে নেবে। স্বাগতিক কাতার এবং কানাডা ইতিমধ্যেই তাদের নিজ নিজ উদ্বোধনী দুটি ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়েছে।

রেকর্ড পাঁচবারের বিজয়ী ব্রাজিল, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল তাদের🎃 নিজ নিজ গ্রুপের প্রথম দুইটি ম্যাচ জিতে ফিফা বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার রাতে ক𝕴াতার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচগুলো শুরু হবে। নেদারল্যান্ডসের সাথে খেলবে স্বাগতিক কাতার, ইকুয়েডর গ্রুপ এ-তে সেনেগালের মুখোমুখি হবে। বাকি দুই ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ড-ওয়েলস। চার ম্যাচের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে কেবল দুই সময়। অর্থাৎ, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় হবে দুটি ম্যাচ (নেদারল্যান্ডস-কাতার, ইকুয়েডর-সেনেগাল) ও রাত ১টায় হবে বাকি চার দলের দুꦍই ম্যাচ। গ্রুপের শেষ ম্যাচের জন্য কেন একই সময় নির্ধারণ করা হচ্ছে?

𒊎১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রিয়া এবং পশ্চিম জার্মানির ম্যাচ পাতানোর অভিযোগের কারণে ফিফা এই নিয়ম চালু করে। স্পেনের গিজনের এল মোলি🀅নন স্টেডিয়ামে এটি ছিল পশ্চিম জার্মানি এবং অস্ট্রিয়ার মধ্যে একটি গ্রুপ ম্যাচ। এই ম্যাচটি পরবর্তীতে ‍‍`ডিসগ্রেস অফ গিজন‍‍` নামে পরিচিত হয়।

আলজেরিয়া এই আসরে চমৎকার সূচনা করেছিল। তারা উদ্বোধনী ম্যাচে পশ্চিম জার্মানিকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। আলজেরিয়া এই জয় তুলে নিয়ে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপে ইউরোপীয় দলকে হারায়। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা অস্ট্রিয়ার কাছে ০-২ গোলের ব্যবধানে হেরে যায়। তবে তৃতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে যায় তারা। দুটি জয় নিয়ে আলজেরিয়াই প্রথম আফ্রিকান দল যারা বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ জꦡেতে।

পশ্চিম জার্মানি এবং অস্ট্রিয়া ম্যাচের এক দিন আগে আলজেরিয়া তাদের গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ শেষ করে। ফলে তাদের তাকিয়ে থাকতে হয় পরের দিনের ম্যাচের দিকে। পশ্চিম জার্মানি-অস্ট্রিয়া ম্যাচে জার্মানরা এক বা দু♊ই গোলে জিতলে গোল পার্থক্যের ভিত্তিতে জার্মান এবং অস্ট্রিয়া পরের রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারত।

পশ্চিম জার্মানি চার বা তার বেশি গোলে জিতলে আলজেরিয়া পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করতে পারত।ম্যাচে প্রথম ১০ মিনিটে একটি গোল পায় জার্মানরা। ম্যাচ মা🎃ঠে যত গড়ায় ততই দুই দল প্রাণহীন ফুটবল খেলতে থাকে। ম্যাচের বাকি সময় এক দলকেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে দেখা যায়নি। দুই পক্ষই গোল পাওয়ার জন্য আগ্রহই দেখায়নি। ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে পশ্চিম জার্মানি 🎃১-০ গোলে জয়লাভ করে। ফলে দুই দলই পরের রাউন্ডে উঠে যায়, কপাল পোড়ে আলজেরিয়ার।

পশ্চিম জার্ম🅠ানি এবং অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে ফিফা আসলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কারণ দুই দলের কেউই নিয়ম ভঙ্গ করেনি। এই ঘটনা গিজনের কলঙ্ক হয়ে আছে।

এই ঘটনার পর থেকে ফিফা পরের টুর্নামেন্টগুলোর জন্য তাদের নিয়ম সংশোধন করেছে। যেখানে প্রতিটি গ্রুপের চূড়ান্ত দুই ম্যাচ একই সাথে খেলা হবে যাতে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি নꦰা হয়।