আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারত রীতিমতো নাটক তৈরি করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল। ফেব্রুয়ারির শেষ আসরটি শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলেই গড়াতে যাচ্ছে। সেই ভারত এখন মনে-প্রাণে পাকিস্তানের সাফল্য কামনা করছে, তাদের বিজয় চাচ্ছে।🏅 এটা ভাবা কঠিন হলেও আসলেই সত্য।
বাবর আজমদের সমর্থন করছেন বিরাট কোহলিরা। বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ꦐট সিরিজ শুরু করেছে পাকিস্তান। সেখানে পাকিস্তানকে সমর্থন করছে ভারত। কারণ, পাকিস্তানের জয় ভারতের পথ মসৃণ করে দেবে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে রয়েছে তিন দল। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। সবচেয়ে বেশি সুযোগ দক্ষি🐭ণ আফ্রিকার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্টের মধ্যে একটি♕ জিততে পারলেই প্রথম দল হিসাবে ফাইনালে উঠবে তারা। সে ক্ষেত্রে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে বাকি দু’টি টেস্টে হারালেও দক্ষিণ আফ্রিকার নীচেই থাকবে।
যদি দক্ষিণ আফ্রিকা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ ড্র করে ও একটি হারে এবং ভারত অস্ট্রেলিয়াকে দু’টি ম্যাচেই হারায় তা হলেই একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার উপরে থাকবে ভারত। এই দুই দলের এটিই শেষ সিরিজ। এরপর আর কোনও খেলা নেই। অর্থাৎ,ღ পাকিস্তান জিতলে লাভ ভারতের। সেই কারণেই পাকিস্তানের জয় চাইছে ভারত। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ম🍸নে মনে হয়তো সেটাই চাইছেন কোহলিরা।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও দৌড়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যদি ভারত অস্ট্রেলিয়াকে দু’টি ম্যাচেই হারায় তা হলে তারা ফাই🔜নালে উঠবে। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া যদি শ্রীলঙ্কাকে দু’টি টেস্টেই হারায় তারপরও তারা উঠতে পারবে না। কিন্তু ভারত যদি এই দুই টেস্টের মধ্যে একটি জেতে ও একটি ড্র করে সে ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কারও সাহায্য প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা যদি অন্তত একটি টেস্ট ড্র করে তা হলেই ভারতের ফাইনাল পাকা। যদি ভারত একটি টেস্ট জেতে ও একটি হারে তা হলে তাদের আশা করতে হবে যে, শ্রীলঙ্কা ২-০ বা ১-০ সিরিজ জিতুক। আর যদি ভারত দু’টি টেস্টের মধ্যে অন্তত একটি জিততে না পারে, তা হলে আর ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকবে না তাদের। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা বা অস্ট্রেলিয়♔া-শ্রীলঙ্কা সিরিজের আর কোনও গুরুত্ব থাকবে না।