যখন বিশ্ব ক্রিকেটে শুধুমাত্র টেস্ট খেলা প্রচলন ছিল, তখন তো রান বন্যা কল্পনাও করা যেত না। 𓃲ওয়ানডে চালু হলে রানের গতি বেশ সচল হয়। কিন্তু দুই দশক আগে টি-টোয়꧙েন্টি চালু হলে রান বন্যার বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে, আবার সেটা দ্রুত ভেঙেও যাচ্ছে।
টি-টোয়েন্টিতে রানের উৎসব আপাতত থামছেই না। চলতি বছরেই একাধিকবার দেখা গেল ২০ ওভারের ক্রিকেটে রানের রেকর্ড ভাঙা-গড়ার উৎসব। ভারত বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছে ২৯৭ রান। যেটা ছিল টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর জন্য সর্বোচ্চ। এরপরই জিম্বাবুয়ে নিজেদের স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ৩৪৪ রান। যেটা টি-টোয়েন্টির যেকোওন পর্যায়েই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
এবার সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল ভারতের সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফির সিকিম ও বারোদার ম্যাচে। সিক🍷িমের বিপক্ষে প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ রান করে বারোদা মাত্র ১৭.২ ওভারে𝓰ই। শেষ পর্যন্ত তারা ২০ ওভারে ৫ উইকেটে থামে ৩৪৯ রানে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলীয় সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড।
ম্যাচে বারোদার বিশাল রান তাড়া করতে নেমে সিকিম ২০ ওভারে ৭ 🔜উইকেটে ৮৬ রান করে। আর ম্যাচটিতে ২৬৩ রানের ব্যবধানে জয়ল𝔍াভ করে বারোদা।
সিকিমের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে বেশ কিছু রেকর্ডই নিজেদের করে নিয়েছে বারোদা। দুই ওপেনার শ্বাশত রাওয়াত এবং অভিমন্যু সিং রাজপুত ৫ ওভারেই তোলেন ৯২ রান। পা꧅ওয়ারপলের আগেই আসে দলীয় শতরান। তিনে নামা ভানু পানিয়া এরপর শুরু♌ করেন ধ্বংসযজ্ঞ।
মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি করা ম্যাচ💎সেরা ভানু পানিয়া শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫১ বলে ১৩৪ রান নিয়ে। তার এই ইনিংসের সুবাদেই বারোদা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্রুততম দলীয় দুইশ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়ে। মাত্র ১০🍨.৩ ওভারেই দুইশ পূর্ণ করে দলটি।
১৮তম ওভারে ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় দল হিসেবে ৩০০ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে বারোদা। ২০২৩ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ৩১৪ এবং চলতি বছর গাম্বিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ৩৪৪ রানের রেকর্ড ট൩পকে ২০ ওভারে ৩৪৯ রানে থামে বারোদার ব্যাটিং ঝড়।
এমন বিশা🤡ল স্কোরের পথে অবশ্য আরও একটা রেকর্ড গড়েছে বারোদা। পুরো ইনিংসে তারা হাঁকিয়েছে ৩৭টি ছক্কা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার নতুন রেকꦅর্ড এটি। এর আগে জিম্বাবুয়ে দল গাম্বিয়ার বিপক্ষে হাঁকিয়েছিল ২৭টি ছক্কা।