হযরত শাহজালাল বিমানব্ন্দরে সোমবার গভীর রাতেও আনন্দমুখর পরিবেশে অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের( বিবিসি) কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা। ঠিক রাত এগারোটায় অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ দলে বহনকারী ফ্লাইট বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। দারুণ এক আনন্দঘন মুহূর্ত 🥀দেখা গেল তখন।
ফাইনালে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ও এশিয়ার সেরা ক্রিকেট শক্তি ভারতকে ৫৯ রানের সহজ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা অক্ষূণ্ণ রাখে টাইগার 🀅যুবারা।
শুরুতে বাংলাদেশের যুবাদের ফুল ꦡদিয়ে বরণ করে নেন বিসিবির কর্তারা। পরবর্তীতে কেক কেটে শিরোপা উদযাপন করেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এশিয়া জয়ের অপূর্ব গল্প শ๊োনান বাংলাদেশের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।
এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। বাংলাদেশের জন্যও এ যাত্রা ছিল কঠিন। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে হয়েছিল বাংলাদেশের যুবাদের। ফাইনালে কঠিন প্রতিপক্ষ ভারত। তার আগে বাংলাদেশ নতুন শক্✃তি 🅰আফগানিস্তানকে হারায়।
তামিম বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমাদের এই সাফল্য দলগত পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসের ফসল। আমরা শুরু থেকেই একে অপরের পাশে ছিলাম। অনূর্ধ্ব-১৫, ১৬, ১৭ স্তর থেকেꦬ এই দলটা গড়ে উঠেছে। সবার পরিশ্রমের ফলেই আজ আমরা চ্যাম্পিয়ন। আল্লাহ, আমাদের সেই কষ্টের পু🌺রস্কার দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এই ট্রফি শুধুমাত্র আমাদের নয়, পুরো দেশের জন্য। মা♏ঠে প্রবাসী দর্শকদের সমর্থন দেখে মনে হয়েছে, আমরা শুধু খেলছি না, দেশের নাম উজ্জ্বল করছি।’
দুবাইয়ে ফাইনাল চলাকালে গ্যালারিতে বসে তাকবির (আল্লাহ আকবার) দি🉐তে থাকে বাংলাদেশি প্রবাসীরা। বিষয়টা নিয়ে তামিম বলেন, ‘গ্যালারি থেকে যখন আল্লাহু আকবর ধ্বনি শোনা যাচ্ছিল, সেটা একজন মুসলিম হিসেবে আমাকে ভীষণ গর্বিত করেছে। আমাদের সমর্থ💜নে যারা সকাল থেকে গ্যালারিতে হাজির ছিলেন, তাদের জন্যই আমরা খেলাটা আরও বেশি উপভোগ করেছি।’
সেমিতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাকযুদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের। একে অপরকে স্লেজিং করেছে। এ নিয়ে তামিম বলেন, ম্যাচ জয়ের জন্য স্লেজিংয়ের দরকার আছে। তামিম জ๊ানান, ‘‘ব্যাটিংয়ের সময় পাকিস্তানি বোলার তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘বল দেখেছি🎀স?’ পরের বলে ছক্কা মেরে আমি জবাবে দিই, ‘তুই বল দেখেছিস?’’
২০২৬ সালের যুব বিশ্বকাপ নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমাদের জন্য বিশ্বকাপ হবে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। আমরা প্রস্তুত হচ্ছি এবং আরও ভালো কিছু করার 🐟লক্ষ্য নিয়ে এগ✱িয়ে যাচ্ছি।’