বিয়ে মানে দুটি পরিবারের বন্ধন। মেয়েরা শ্বশুরবাড়িকে আপন করে নেয়, তেমনি ছেলেরাও দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থাকে সব সময়। বিয়ের পর মেয়েরা শ্বশুরবাড়িতে নতুন সম্পর্কের জেরে বেধে যায়। একজন ছেলের বউ, ভাব🔯ি, চাচি, মামি সম্পর্কে🍸র একেক রূপে নারীরা নতুন পরিচয় পায়।
বাড়িতে স্ত্🎃রীর আসার আগে সব স্থানজুড়েই বাড়ির মেয়ের কর্তৃত্ব থাকে। যিনি বোন বা দিদি হয়। আদরের মেয়ে বলতে তখন বাড়িয়ে একমাত্র তিনিই থাকেন। কিন্তু নতুন বউ এলে আদরে ভাগ বসে। তখনই শুরু হয় খুনসুটি। কেউ নতুন ভাবিকে সাদরে গ্রহণ করে বান্ধবীর মতোই থাকেন, কেউ আবার দোষ ধরতে থাকে পদে পদে। সম্পর্কের বাঁধন কতটা মজবুত হবে তাতে দুজনের প্রচেষ্টাই প্রয়োজন।
ননদ-ভাবির খুনস🍰ুটির সম্পর্ককে কীভাবে মজব🐲ুত করা যায় সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ থাকছে এই আয়োজনে।
ভাবি যেহেতু অন্য পরিবার থেকে আসে, তাই সম্পর্ক সুন্দরের প্রথম দায়িত্বটা ননদকেই নিতে হবে। বউদি হোক বা ছোট ভাইয়ের বউ তার অসন্তুষ্টিতে কোনো কথা না বলাই ভালো। নিজের ব্যবহারে ও কথায় সংযত রাখতে হবে।
ভাবির সঙ্গে সম্পর্কের বোঝাপড়াটা সহজ করুন। সখ্য গড়ে তুলুন। যেকোনো বিষয় শেয়ার করুন এবং তার সমস্যাগুলোও শুনুন। যতটা সম্ভব সহায়তা করুন।
মায়ের সঙ্গে ভাবির অযথা কোনো বিষয়ে ঝামেলা হলে তা সুন্দরভাবে কাটিয়ে নিন। অযথা ঝামেলা না বাড়িয়ে যথাসম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করুন।
ভাবির কোনো বিষয়ে পছন্দ হলে তার প্রশংসা করুন। তেমনি ভাবিরও উচিত ননদের ভালো কাজের প্রশংসা এবং ভুলগুলো হাসিমুখে বুঝিয়ে বলা।
ভাই ও ভাবি কোথাও ঘুরতে যাচ্ছেন। পিছু পিছু ছুটবেন না।
ননদের ব্যক্তিগত কোনো ব্যপারে আগ বাড়িয়ে মতামত দিতে যাবে না। আপনার সঙ্গে শেয়ার করলেই তাকে উপদেশ দিবেন। তবে কোনোভাবেই তাকে নিচু দেখানোর চেষ্টা করবেন না।
ননদকে নিয়ে সিনেমা, শপিং মলে ঘুরে বেড়াতে পারেন। তবে তা সব সময় নয়। স্বামীর সঙ্গেই শপিং সেরে নিন। এতে পরে কোনো কারণে ননদকে না নিতে পারলেও চক্ষুকটু হবে না।
একসঙ্গে থাকলে খুনসুটি, ঝগড়া, মনকষাকষি হবেই। এমন পরিস্থিতি নিজেই সামলে নিন। স্বামী বা অন্য কাউকে এতে জড়াবেন না।
ননদ ও ননাসকে বোনের মতোই দেখুন। আপনার থেকে বয়সে ছোট হলে প্রথম থেকে ‘তুই’ বলেই সম্বোধন করুন। যদি আপনার ননদ বয়সে বড় হয় তবে বন্ধুর চোখে দেখুন। কিন্তু অতিরিক্ত মাখামাখি করবেন না।
ভাইয়ের কাছে ভাবির সম্পর্কে কোনো কথা বলতে যাবেন না। তেমনটি ভাবিরও বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। অযথা স্বামীর কাছে বোনের কোনো বিষয় নিয়ে নেগেটিভ উপস্থাপন করবেন না।