খ্রিষ্টান ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় উত্সব বড়দিন বা ক্রিসমাস। এই দিনে উত্সব, আনন্দে মেতে উঠে সবাই। ঘর সাজানো, রাস্তার আলোকসজ্জায় থাকে বিশেষ আয়োজন। তবে প্রধা🎉ন আকর্ষণ থাকে, ক্রিসমাস ট্রি ডেকোরেশন বা সাজানো। ক্রিসমাস ট্রি সাজানোর জন্য থাকে অনেক প্রস্তুতি। বিভিন্ন ধরণের অনুষঙ্গ আর বাতি দিয়ে আলোকিত করা হয় ক্রিসমাস ট্রি। আর এর নিচে রাখা হয় বিভিন্ন ধরণের উপহার সামগ্রী। এটি ছাড়া পুরো উৎসবই যেন অসম্পূর্ণ মনে হয়।
ক্রিসমাস ট্রি সাজানো এই উত্সবের অন্যতম ঐতিহ্য। তবে জানেন কি, যীশুর সঙ্গে ক্রিসমাস ট্রির কোনও সরাসরি সম্পর্ক নেই। এমনকি বাইবেলেও ক্রিসমাস ট্রি সম্পর্কে কিছু লেখা নেই। তবুও প্রায় কয়েকশো বছর ধরে ক্রিসমাস ট্রি বড়দিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু কেন ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হ🌞য়, জানেন? এর পেছনে🌊ও রয়েছে ইতিহাস।
খ্রিষ্টান ধর্মাম্বলীদের বিশ্বাস অনুসারে, ক্রিসমাস ট্রির ঐতিহ্য জার্মানি থেকে ষোড়শ শতাব্দীতে শুরু হয়। ওই সময় খ্রিষ্টান পরিবারে ক্রিসমাস উপলক্ষে বাড়িতে দেবদারু গাছ সাজাতেন। ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। যা পরবর্তী সময়ে ঐতিহ্যের রূপ নেয়। দেবদারু গাছ অর🍃্থাৎ ক্রিসমাস ট্রি উত্সবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে ওঠে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যে ব্রিটিশ এবংℱ আমেরিকান সংস্কৃতিতে ক্রিসম🎀াস ট্রি সাজানোর ঐতিহ্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পরে তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
কেন বিশেষ দেবদারু ✅গাছ দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়, জানেন? খ্রিস্টান বিশ্বাস অনুসারে, দেবদারু গাছ জীবন এবং পুনর্জন্মের প্রতীক। এই গাছকে আশা এবং নতুন জীবনের প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। কিছু দেশে এই গাছকে অমরত্বের প্রতীকও মনে করে। রোমান এবং জার্মান ঐতিহ্যে শীতকালে দেবদারু গাছ ঘরে আনার প্রচলন ছিল। তারা বিশ্বাস করতেন, দেবদারু গাছ দুষ্ট আত্মাকে বাড়ি থেকে দূরে রাখে এবং সৌভাগ্য নিয়ে আসে। তাই ঘরে ঘরে দেবদারু গাছ রাখা হতো।
সেই সূত্র ধরেই শীতের মৌসুমে ক⛎্রিসমাস পালনের সময় দেবদারু গাছ সাজানোর রীতি শুরু হয়। খ্রিস্টান বিশ্বাস অনুসা💖রে, ক্রিসমাস উৎসব এবং আনন্দের উৎসব। বাড়িতে ক্রিসমাস ট্রি সাজালে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়।
শুধু তাই নয়, ক্রি💯সমাস ট্রিতে🤪 একটি তারা লাগানো হয়। তারাটি বেথলেহেমের তারাকে নির্দেশ করে। যা তিনজন জ্ঞানী ব্যক্তিকে যীশুর কাছে পৌঁছানোর পথ দেখিয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। আর ছোট ছোট চকচকে বল দিয়ে সাজানোর কারণ হচ্ছে এগুলো ঈশ্বরের কৃপার প্রতীক।