পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র অবস্থান করে। একজন ব্যক্তি অন্যজনের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রত্যেক মানুষের চিন্তাধারায় থাকে ভিন্নতার ছায়া। আবার দুটো পরিবারের দুইজন সদস্যের মধ্যে দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার পরেও থাকে মতামতের বিভিন্নতা। এ সবই খুব স্বাভাবিক বিষয়। তবে বিপত্তি ঘটে যদি এ ভিন্নতার পথ ধরে আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক নষ্ট হয়। সৃষ্টি হয় ভ💞ুল-বোঝাবুঝির।
যেকোনো সম্পর্কেই ভুল-বোঝাবুঝি বা সম্পর্কের এই ওঠা-নামা বিষয়টি ধরে রাখা একদমই ঠিক ন🍷য়। মাঝেমধ্যে নিজেকেই প্রথমে এগিয়ে যেতে হবে সমাধান করতে হবে। আজকের আয়োজনে আমরা জেনে নেব সম্পর্কে এ ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলার কিছু সাধারণ উপায় সম্পর্কে।
ধারণার ভিত্তিতে কথা না বলা: শুধু ধারণার ওপর ভিত্তি করে কোনো বিষয়ে জোর দিয়ে কথা না বলা উচিত। এতে ভুল-বোঝাবুঝি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। যে বিষয়ে ধারণা করে একটা বꦡাজে মন্তব্য করেছেন বিষয়টি অসত্যও হতে পারে। তাই সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলে পরিষ্কার হয়ে নিন।
মতের অমিল হলে তর্ক না করা: প্রত্যেক মানুষ ভিন্ন এবং প্রত্যেক মানুষের মতামত ও জীবꦉনাদর্শন ভিন্ন। কাজেই যার সঙ্গে আপনি সুসম্পর্কে আছেন, তার মতকে মূল্যায়ন করুন। দুজনকেই বুঝতে হবে আপনার সঙ্গী স্বতন্ত্র মা꧋নুষ তাই তার ধারণাটাও আলাদা হবে।
সঙ্গীর ভালো দিকগুলো চর্চা করুন: একসঙ্গে পথচলার ফলে একে অন্যের ভালো-মন্দের ও সক্ষমতা-দুর্বলতার দিকগুলো জানা হয়ে যায়। সঙ্🌼গীর ভালো ♔গুণগুলো সব সময় মাথায় রাখুন। সঙ্গীর দুর্বল দিকগুলোর সমালোচনা না করে তার ভালো গুণগুলোর প্রশংসা করতে হবে।
আলোচনার করে সিদ্ধান্ত নিন: ভুল-বোঝ༒াবুঝি হলে আলোচনার মܫাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করতে হবে। দুজনই চুপ থাকলে বিষয়টি আরও ঘোলাটে হবে। এ কারণে ইগো না দেখিয়ে নিজেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন। কোনো রকম দোষারোপ না করে ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন।
তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করুন: দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি বা মতের অমিল হলে কখনোই বাইরের মানুষকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না। এতে করে ꦉসম্পর্ক আরও নষ্ট হতে পারে। যার ওপরে অভিমান তার সঙ্গেই বলুন।