পৃথিবীর শুরু থেকে প্রাণীর অস্তিত্ব নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। ইতিহাস নিয়ে নাড়া চাড়া ক🐓রলেই নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে। পুরনো ধারণা ভেঙে দিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি 'উড়ন্ত ড্রাগন' বা উড়ুক্কু ডাইনোসরের অস্তিত্বের খোঁজ পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। চিলির আতাকামা মরুভূমিতে ড্রাগনের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন। এই মরুভূমি একসময় প্রশান্ত মহাসাগরে নিচে ছিল। এ অঞ্চলের কিছু জায়গা কয়েক দশক ধরে ভেসে উঠে। যেখানে কিছু জায়গা কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। তাই বিজ্ঞানীরা জীবাশ্ম অনুসন্ধানে এই আদর্শ জায়গা বেছে নেন।
'উড়ন্ত ড্রাগন' বা উড়ুক্কু ডাইনোসর পাখির মতোই উড়ে বেড়াত। বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, এই ডাইনোসরের বিচরণ শুধু উত্তর গোলার্ধেই ছিল। কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধেও এদের অস্তিত্ব পাওয়া গেল।
এই ডাইনোসোরের অস্তিত্ব প্রথম আবিষ্কার করেনಞ আতাকামা ডেজার্ট মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টরি অ্যান্ড কালচারের অধিকর্তা ওসালদো রোজাস। পরে চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ღএ নিয়ে গবেষণা করেন।
জীবাশ্মবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা অ্যাকটা প্যালিওন্টোলজিকা পোলোনিকা সাময়ি𝓰কীতে বিজ্ঞানীদের গবেষণাটি প্রকাশিত হয়।
গবেষকরা জানান, উড়ন্ত ড্রাগণ আদিম টেরোসরাসের অন্তর্গত ছিল। ১৬ কোটি বছর আগে এরা পৃথিবীতে বিচরণ করত। দীর্ঘ লেজ, ডানা এবং বাইরের দিকে♏ বেরিয়ে থাকা তীক্ষ্ণ দাঁতের অধিকারী 🎀ছিল এই ডাইনোসর।
গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী জোনাথন অ্যালার্কন বলেন, “উড়ুক্কু ড্রাগনের বিচরণ নিয়ে যা জানা ছিল, প্রকৃতপক্ষে এদের বিস্তৃতি তা𝓡র চেয়েও বেশি ছিল। শুধু তাই নয়, এই আবিষ্কার থেকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের প্রাণীদের সম্ভাব্য স্থানান্তর ও তাদের আন্তঃসম্পর্কের সূত্রেরও ইঙ্গিত মিলেছে।
বিজ্ঞানী অ্যালার্কন আরও বলেন, “এসব টের🎶োসরাসের একটি প্রজাতির🍨 খোঁজ কিউবাতে পাওয়া যায়। এগুলো উপকূলীয় প্রাণী ছিল। উত্তর ও দক্ষিণে স্থানান্তরিত হতো।"
“এটি এমন একটি সময়ের ইঙ্গিত দেয়, যখন পৃথিবীর অধিকাংশ দক্ষিণাঞ্চলীয় ভূমি গন্ডোয়ানা নামক এক মহা-মহাদেশে সংযুক্ত ছিল।༺"
সূত্র: রয়টার্স