নতুন প্রেমে জড়িয়েছেন? একে অন্যকে বোঝাপড়ায় সময় তো লাগবেই। প্রিয়জনকে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে সবারই আপত্তি থাকে। এমনকি প্রিয়জনের মনোযোগ সরে গেলেও মন খারাপ হয়। অজান্তেই ঈর্ষা বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ছেলেরা একটু বেশিই ঈর্ষান্বিত হয়। বয়ফ্রেন্ড যদি বেশি ঈর্ষান্বিত হয় তবে তার সঙ্গে মানিয়ে নি🌳তে হবে একটু কৌশলে। নয়তো প্রেমের সম্পর্ক ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
সমবয়সী প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে ঈর্ষার প্রবণতা বেশি থাকে। তারা সারাক্ষণ নিজেদের সঙ্গে উপভোগ করতে চায়। অন্যের সঙ্গে তাদের পছন্দ নয়। সঙ্গীকেও সেভাবেই চায়। এ ক্ষেত্রে সঙ্গীর চাওয়া-পাওয়ার মূল্য দিন। একা না, বরং দুজন মিলেই অন্য বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব জাস্টিস দ্বারা উদ্ধৃত এক গবেষণার ফলাফল অনুসারে, সম্পর্ক এবং যোগাযোগের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার অভাবের কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ কম হলে ঈর্ষা বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে যোগাযোগ ঠিক রাখুন।
ঈর্ষা যা আক্রমণাত্মক আচরণে নারীদের ওপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাব পড়ে। এটি মেয়েদের মানসিকভাবে ভোগায়। লিজ ক্লেইবোন ইঙ্ক দ্বারা পরিচালিত ২০০৮ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এক-তৃতীয়াংশ কিশোর-কিশোরী সম্পর্কের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। সঙ্গী কোথায় ছিল এবং কার সঙ্গে ছিল, তা নিয়ে কৌতূহলী থাকে বেশি। বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ে মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে শেয়ার করুন।
ঈর্ষা একটি সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে। সঙ্গীকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন। সরাসরি কথা বলুন। তবে নমনীয়তা বজায় রাখুন। আপনার প্রতি তার চিন্তাভাবনা এগিয়ে যাওয়ার আগে প্রতিক্রিয়া মনোযোগসহকারে শুনুন। শান্ত থাকার চেষ্টা করুন।
প্রেমিকের অনুভূতি সম্পর্কে সচেতন হোন। সম্পর্কের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার ভয় এবং উদ্বেগের কথা জানান। আপনাকে যেন সব বলতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ঈর্ষা জাগিয়ে তোলে এমন আচরণ করবেন না। আপনি সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত, কিন্তু প্রেমিকের ওপর রাগ করে এমন কোনো আচরণ করছেন যে সে ঈর্ষান্বিত হচ্ছে। এমন কিছু করবেন না। এটি সম্পর্কের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ বাড়াতে পারে।
আপনার বয়ফ্রেন্ড যেমন তেমন করেই গ্রহণ করুন। মানুষ পরিবর্তন হয়, তবে তা ধীরে ধীরে। এর জন্য় সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বয়ফ্রেন্ডের ঈর্ষার আচরণও পরিবর্তন হবে। যখন সে পুরোপুরিভাবে আপনাকে বিশ্বাস ও ভরসা করবে। তাকে সেই সময়টা দিন। তার ঈর্ষান্বিত প্রবণতা হ্রাস করতে তার সঙ্গে সহযোগিতা করুন।