প্রতিটি অফিসে এক থেকে একা💝ধিক সিনিয়র থাকেন। আবার অফিসে কর্মরত সব কর্মীর ওপরে একজন বস থাকেন। অফিসে বসের গুরুত্ব যেমন সর্বাধিক তেমনি রয়েছে তার অধীনে কর্মরত কর্মীদেরও গুরুত্ব। কেননা, একটা প্রতিষ্ঠানের ভালো-মন্দ নির্ভর করে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্ম𓂃ীদের ওপরে।
অফিসের বস ভালো হলে তার অধীনে কর্মীরা কাজ করতে চায়। অপর দিকে একজন খারাপ বসকে কর্মীরা কখনোই সম্মান করতে পারে না। কাজের খাত👍িরে কেবল বসের আদেশ অনুযায়ী পরিশ্রম করে কিন্তু মন থেকে সম্মান করে না। অফিসে বসের কিছু আচরণ ও স্বভাব কর্মীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কোনো কোনো অফিসের বস কর্মীর সঙ্ꦛগে ফোনে কথা বলেন না। প্রয়োজনে কেবল মেসেজে কথা বলেন। বসের এই স্বভাব অনেক সময় তার কর্মীদের ওপর খারাপভাবে প্রভাব ফেলে। কারণ, কর্মীর সঙ্গে ফোনে কথা না বলার মানে হলো তার আগ্রহের অভাব দেখানো। এটি ভুল-বোঝাবুঝি ও যোগাযোগের ঘাটতি বাড়িয়ে দেয়।
একবার বা দুইবার কারও নাম ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এই অবস্থা প্রতিনিয়ত ঘটলে মুশকিল। ক্রমাগত কর্মীর নাম ভুলে যান অনেক বস।♔ অফিসের বসের এ ধরনের আচরণ মনে করিয়ে দেয় যে, কর্মীকে তিনি কোনো গুরুত্ব দেন না। তাই তার নাম-পরিচয় মনে রাখারও তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি কর্মীর প্রতি বসের যত্নের অভাবকে প্রতিফলিত করে। যার ফলে কর্মী নিজের কাছে নিজে গুরুত্বহীন বোধ করতে শুরু করে।
এটি অনেক বসের অন্যতম মন্দ স্বভাব। কর্মী ভালো কোনো আইডিয়া দিলে ✤বা কাজ করলে বস যদি তাকে তার ক্রেডিট না দেন তখন তারা নিরাশ হয়ে যান। বসের এ ধরনের স্বভাবের মানে হলো তার দক্ষতার অভাব। এটি বসের নৈতিক দিককেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
বস ♎যদি কর্মীদের সঙ্গে আন্তরিক না হন, দেখা না করেন বা কথা না বলেন তবে এটি অবশ্যই তার একটি সীমাবদ্ধতা। কর্মীদের সঙ্গে দেখা করা, তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনা আন্তরিকতার প্রতীক। তাছাড়া একটি সুন্দর টিম গঠনের জন্যও কর্মীদের খোঁজখবর নেওয়া জরুরি। মাঝেমধ্যে কর্মীদের সঙ্গে কথা বললে কর্মীরাও কাজের প্রতি দ্বিগুণ🍎 উৎসাহ পায়।
কর্মীরা অতিরিক্ত কাজ করলে। অথবা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সরবরাহ করলে অবশ্যই তাকে উৎসাহ দেওয়া উচিত। কর্মী কীভাবে কাজ করছে এবং লক্ষ্য অর্জন করছে তা না দেখলে বুঝবেন এটি বসের অবিবেচক স্বভাবের প্রতিফলন। বসের অধীনে কর্মরত সমস্ত কর্মীদের লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ। কর্মীর ভালো স্বভাব বা ಌঅর্জনগুলোকে কেবল প্রাপ্য হিসেবে নেওয়া উচিত নয় বরং তাকে কাজের সঠিক সম্মাননা দেওয়া উচিত। কারণ একজন ভালো কর্মী একটা অফিসের সম্পদ।