সুন্দরী বসের সম্পর্কের জালে ৫৮ পুরুষ সহকর্মী, অতঃপর...

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম
দ্য বিউটিফুল গভর্নর ঝং ইয়াং। ছবি: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

দেখতে ღচোখ ধাঁধানো সুন্দরী। তাই তিনি ‘দ্য বিউটিফুল গভর্নর’ হিসেবে পরিচিত। ব্যক্তিগত সম্পর্ক না গড়লে সরকারি এই কর্মকর্তা কাউকে সহায়তা করতেন না। বাধ্য হয়ে অধীনস্থ কর্মকর্তা꧒রা তাদের নারী বসের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তেন।

অভিযোগ উঠেছে, দ্য বিউটিফুল গভর্ননের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জালে জড়িয়ে পড়েছিলেন🦹 ৫৮ জন পুরুষ সহকর্মী। আর এভাবে ঘুস নিয়েছেন বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০১ কোটি ৫১ লাখ ৫৪ হাজ💖ার ৮২৩ টাকা।

ঘটনাটি চীনের। অভিযুক্ত নারীর নাম ঝং ইয়াং। তিনি গুইঝৌ প্রদেশের কিয়ানান অঞ্চলে🐷র চীনা কমিউনি꧙স্ট পার্টির উপচিব। একইসঙ্গে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসেও (এনপিসি) তার পদ ছিল।

ঝং ইয়াংয়ের বিরুদ্ধে অধীনস্থ ৫৮ জন কর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা ও ঘুস নেওয়ার অভিযোগ😼 রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চীনের এই নারী সরকারি কর্মকর্তাকে ১৩ বছরের জেল ও ১০ লাখ ইউয়ান জরিমানা করেছে আদালত। ১০ লাখ ইউয়ান বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ কোটি ৯১ লাখ ৯ হাজার ২৪৭ টাকার সমান।

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে ঝং ইয়াꦗংয়ের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা ও ঘুস গ্রহণের অভিযোগ ও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের তথ্য উঠে এসেছে।

ঝংয়ের অনৈতিক সম্পর্কের শিকার ৫৮ অধীনস্থ কর্মীর মধ্যে অনেকেই বলেছেন, নারী বসের কাছ 🐈থেকে সুবিধা পেতে তারা সেই সম্পর্ক গ🔯ড়েছেন। যদিও অনেকেই মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫২ বছর বয়সী ঝং ২২ বছর বয়সে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত হন। তিনি কৃষকদের সহায়তার জন্য কৃষি সমিতি শুরু করে আলোচনায় আসেন। সেইসঙ্গে বয়স্কদের সহায়তার জন্য কাজ করে সুনাম অর্জনও করেন। 

চলতি ব🅺ছরের জানুয়ারিতে গুইঝৌ রেডিও ও টেলিভিশনে ঝংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে প্রথম ডকুমেন্টারি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়🐻, পছন্দের কোম্পানিগুলোকে সরকারি বিনিয়োগ পাইয়ে দিতে ঝং ঘুষ নিয়েছিলেন।

সেই ডকুমেন্টারিতে এক কর্মকর্তা জানান, ব্যক্তিগত সম্পর্ক না গড়লে ঝং তাকে সহায়তা করতেন না। গতꦯ এপ্রিলে ঝংকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি সেপ্টেম্বরে তাকে সিপিসি ও এনপিসি থেকেও বাদ দেওয়া হয়। তবে নিজের কর্মকাণ্ডেꦦর জন্য ঝং ওই ডকুমেন্টারিতে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি সত্যিই লজ্জিত এবং বিব্রত।’