ডেপ-হার্ড মামলা

জনি ডেপ আমাকে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেননি: কেট মস

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২২, ১২:৪৬ পিএম

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জনি ডেপ। প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা এনেছিলেন এই অভিনেতা। আর সেꦡই মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে রিতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ডেপেরই আরেক সাবেক প্রেমিকা কেট মস। কেট মসের দেয়া🌌 সাক্ষ্যের কারণেই এ মামলার মোড় অনেকটা ঘুরে যায়। তার সাক্ষ্যমতে জনি ডেপ তাকে কখনো  সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয়নি।

বিবিসির রেডিও শো ‍‍`ডেজার্ট আইল্যান্ড ডিস্কস‍‍`কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কেট মসকে জনির পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। তখন এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, "আমি সত্যে বিশ্বাস করি এবং আমি স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করি। আমি জনির সম্পর্কে সত্যটা জানি। ♐আমি জানি,ꦜ সে কোনোদিন আমাকে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেয়নি। আমাকে এই সত্যটা বলতেই হতো।"

১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এক♉সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন জনি ডেপ ও কেট মস। ডেপ-হার্ড মানহানি মামলার শুনানি চলাকালে অ্যাম্বার হার্ড দাবি করেন, তাদের দুজনের মধ্যে🌜 একদিন ঝগড়ার সময় ডেপের আঘাত থেকে নিজের বোনকে বাঁচাতে ডেপকে ঘুষি মেরেছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুন: অ্যাম্বারের দেওয়া উপহারের গাড়িতে আড়ি পেতেছিলেন ইলন মাস্ক   

সেসময় অ্যাম্বার হার্ড এও বলেছিলেন যে, ঝগড়ার মুহূর্তে তার বোন সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়েছিলেন এবং ডেপ তার দ💝িকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তৎক্ষণাৎ তার কেট মসের ঘটনা মনে পড়ে এবং তিনি ডেপকে ঘুষি মারেন। ‍‍`অ্যাকুয়াম্যান‍‍` অভিনেত্রীর ভাষ্যে, কেট মসের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালཧীন ডেপ তাকেও একবার সিঁড়ি থেকে ফেলে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: জনি ডেপের বিরুদ্ধে অ্যাম্বার হার্ডের যত অভিযোগ

এরপরেই তলব করা হয় কেট মসকে, অনলাইনে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন তিনি। সেখানে কেট মস 𒈔স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জনি ডেপ কোনোদিনই তাকে সিঁড়ি থেকে ফেলে দেননি বা ধাক্কা দেননি। বরং যেদিনের ঘটনার দিকে ইঙ্গ𒊎িত করেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড সেদিন পা পিছলে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি এবং ডেপ তাকে কোলে তুলে ঘরে নিয়ে গিয়ে সেবা-শুশ্রুষা করেছিলেন।

আরও পড়ুন: হানিমুনেই আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল জনি: অ্যাম্বার

ছয় সপ্তাহব্যাপী শুনানি চলার পর এই মানহানি মামলায় জয়ী হন ‍‍`ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো‍‍`। ডেপের এই বিজয়꧒ে এক ধাক্কায় তার জনপ্রিয়তা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে; বিপরীতে ন𒅌েটিজেনদের নেতিবাচক মন্তব্য হজম করতে হয়েছে অ্যাম্বার হার্ডকে।

সূত্র: হলিউড রিপোর্টার