গাজী টায়ার্সের অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ ১৭৩ জনকে ঘিরে যে রহস্য

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম

নারায়ণগঞ্জের র🍬ূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারাখানায় আগুনের ঘটনায় দেড় শতাধিক মানুষ নিখোঁজ আছেন বলে জানা গেছে। তবে তারা কেউ কারখানার শ্রমিক নন বলে দাবি করেছে কারখানা কর্ত🅠ৃপক্ষের। ধারণা করা হচ্ছে, কারখানায় হামলা চালিয়ে লুটপাট কিংবা অন্য কোনো কাজে তারা এসেছিলেন।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া কারখানার স💫ামনে নিখোঁজ মানুষের স্বজনেরা ভিড় জমাতে থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিস নিখোঁজের তালিকা তৈরি🏅র উদ্যোগ নেয়। বেলা পৌনে ৩টা পর্যন্ত ১৭৩ জনের নিখোঁজের তালিকা করেছে ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান♔্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (ঢাকা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, স্বজনদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক এই তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা করার পর তা পুলিশকে দেওয়া হবে। পুলিশ তদন্ত করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত তথ্য জানাবে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম আরও জানান, কারখানাটির ছয়তলার একটি ভবনে বেলা দুইটার দিকেও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন পুরোꦆপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ভবনগুলোর ভেতর যাওয়া যাচ্ছে না। এ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্তꦅ্রণে কাজ করছে।

এদিকে নিখোঁজদের খোঁজে কারখানার সামনে স্বজনেরা ভিড় জমিয়েছেন। গৃহবধূ মোসা. রুবি জানান, তার স্বামী মো. সজিব গত রাত ৯টা থেকে নিখোঁজ। সজিব🍰 উপজেলার মুড়াপাড়া গঙ্গানগর এলাকার শহীদ মিয়ার ছেলে। তিনি রাজ⭕মিস্ত্রির জোগালির কাজ করতেন।

 রুবি বলেন, ‘কারখানায় লুটপাট হইতাছে শুনে সজিব কারখানা🏅য় আসে। রাত ৯টায় শেষবার কথা হয়। তখন সে কারখানায়ই ছিল। পরে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ౠতা (ইউএনও) আহস♋ান মাহমুদ বলেন, আগুন লাগানো ও লুটপাটের ঘটনায় সরকার ব্যবস্থা নেবে। নতুন করে কেউ যেন লুটপাটে না জড়ায়, সে বিষয়ে তারা সতর্ক আছেন।