আমাদের পাওয়ার হিটার প্রয়োজন : বাশার

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১, ০১:৩১ পিএম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা দুঃস্🐽বপ্নের মতো যাচ্ছে বাℱংলাদেশের। বাছাইপর্বে দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপপর্বে ওঠে টাইগাররা। কিন্তু এই পর্বে এখনো জয়ের দেখা পায়নি মাহমুদউল্লাহর দল। দলের এই ব্যর্থতার কারণ হিসেব ব্যাটিং দুর্বলতাকে বড় করে দেখছেন সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তিনি ব্যাটিং অর্ডারের নিচের দিকে পাওয়ার হিটারের অভাবও অনুভব করেছেন।

গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭১ রান করলেও পরের ম্যাচগুলোতে ব্যাটিং ব্যর্থতার চূড়ান্তে গিয়েছে বাংলাদেশে। ওপেনারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা, মিডল অর൲্ডার ও লো অর্ডারে পাওয়ার হিটারের অভাব বাংলাদেশকে ভালোরকম ভোগাচ্ছে। দলের এই দুর্বলতা স্বীকার করেছেন খোদ বিসিবির নির্বাচক বাশারও।

ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েব𝔉সাইট ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বাꦜশার বলেন, “ব্যাটিংয়ের কারণে আমরা ভুগছি। শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে আমরা যদিও ভালো করেছি, কিন্তু বাকি ম্যাচগুলোতে আমরা ভালো ব্যাট করতে পারিনি। আমাদের ব্যাটিং প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না।”

দলের ব্যাটিং দৈন্যতার সমাধান খুঁজতে গিয়ে বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, “আমরা পাওয়ার প্লেতে উন্নতি করতে হবে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে যদি ভালো করতে চাই। আমাদের ব্যাটিং💜 অর্ডারের নিচের দিকে পাওয়ার হিটার প্রয়োজন। অন্য দলগুলো শেষ দিকের ওভারগুলোতে ১০ করে (রান) 🅠নিচ্ছে। কিন্তু এই জায়গায় আমাদের।”

টানা তিন হারে বাংলাদেশের সেমিতে যাওয়া স্বপ্ন কার্যত শেষ। যেটুকু আশা বেঁচে আছে, তা মূলত কাগজে কলমে। এমন পরিস্থিতিতে নিজের হতাশা গোপন রাখেননি বাশার, “
“প্রত্যেকেই হতাশ। আমরা ওয়েস্ট ইন্ড🌱িজের বিপক্ষে একটা সুযোগ সৃষ্টি করেছিলাম। তাদের হার🦄াতে পারলে মানসিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যেতো। আমরা সুযোগ হারিয়েছি।”

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে গরের মাঠে দুইটা সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। জিতেছে দুইটিই। তখন অবশ্য উইকেট নিয়ে বেশ কথা উঠেছিল। তখন বলা হয়েছিল, জয়ের ধারার মধ্যে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল বাশারের কণ্ঠে, “আমরা অনেকগুলো ম্যাচ খেলে এই বিশ্বকাপে এসেছি। এটা আমরা আগে কখনো করিনি। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের উইকেট নিয়ে অনেক কথা উঠে🧜ছে। কিন্তু জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

তবে হাবিবুল বাশার স্বীকার করেছেন ঢাকায় যে উইকেটে খেলা হয়, তা ভালো পাওয়ার হিটার তৈরিতে প্রতিবন্ধক। তার প্রত্যাশা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভবিষ্যতে য উইকেট তৈরি হবে তা ভালো পাওয়ার হিটার তৈরিতে সহায়ক হবে, “আমি মনে করি আমাদের পরবর্তী ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো ব্যাটিং উইকেট থাকবে। যেখানে ধারাবাহিকভাবে ১৮০ থেকে ২০০ রান উঠবে। বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে আমরা ঘুরে ফিরে একই ধরনের উইকেটে খেলি। যেটা পাওয়ার প্লেতে ভালো ব্যাটিং ও নিচের দিকে পাওয়া💫র হিটার তৈরিতে বাধা দেয়।”