নানা অঘটন, রোমাঞ্চ-উত্তেজনা ছড়িয়ে এখন পর্দা নামার অপেক্ষা কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের। এর আগে নিষ🐷্পত্তি হবে শিরোপার। এই ল🤡ড়াইয়ে ইউরোপের ফ্রান্স আর ল্যাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা। দুই দলেরই শিরোপা সংখ্যা দুই। তৃতীয় শিরোপার লড়াইয়ে নামবে দুই দল।
কাতারের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম, লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম𒅌ে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় শুরু হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।
ফ্রান্স তাদের বিশ্বকাপ শিরোপার দ্বিতীয় ও ♔সর্বশেষটির দেখা পেয়েছিল চার বছর আগে রাশিয়ায়। বিপরীতে ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে আলবিসেলেস্তারা ১৯৮৬ সালে পেয়েছিল সর্বশেষ শিরোপার দেখা। এরপর থেকেই তাদের অপেক্ষা আর অপেক্ষা। মাঝে দুইবার ফাইনালে উঠলেও ভেঙেছিল তাদের শিরোপা স্বপ্ন। এবার ওই অপেক্ষা ঘোচানোর চেষ্টা।
কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই নিশ্চিতভাবেই ফেবারিটের তালিকায় শীর্ষে ছিল আর্জেন্টিনা। টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে কাতারে শুরু করেছিল টুর্নামেন্ট। সৌদির কাছে হেরে ওইꦐ রেকর্ডের ইতি টেনেছিল আলবিসেলেস্তারাꦗ। হোঁচট খেয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা আর্জেন্টিনা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিশ্চিত করেই তা বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই একটি অংশ। এই যাত্রায় পুরোটাই সময় নেতৃত্বে ছিলেন লিওনেল মেসি। যার কাঁধে কিনা দলের নেতৃত্বভারও আছে।
আগের চার বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে ৮ টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কো🌺নো ম্যাচেই তার পা থেকে আসেনি একটি গোল। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন কাতারে। শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল, নক আউট পর্বের তিন ম্যাচেই তার পা থেকে এসেছে গোল।
সব মিলিয়ে ৫ গোল সঙ্গে রয়েছে তিন অ্যাসিস্ট। বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটের জন্য মেসির লড়াইটা প্রতিপক্ষ দলের কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে। বিশ্বকাপে এখন 🦩পর্যন্ত এমবাপের পা থ🙈েকেও এসেছে ৫ গোল। ফাইনালে যার পা থেকে গোল আসবে, সেই হয়তো তুলে ধরবে সোনার ওই জুতা।
আগেই ঘোℱষণা দিয়ে রেখেছেন ফাইনালই হবে বিশ্বকাপে মেসির শেষ ম্যাচ। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাকে দেখা যাবে না আর্জেন্টিনার জার্সিতে। এই ম্যাচ খেলতে নামলেই লোথার ম্যাথিউসকে ছাড়িয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড নিজের করে নিবেন মেসি। এর আগে, গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে ছাড়িয়ে বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইনদের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি গোল এখন মেসির।
দুর্দান্ত ছন্দে থাকা মেসি ও আর্জেন্টিনার প্রতিপকౠ্ষ ফ্রান্স খুব একটা পিছিয়ে ন🍰েই। টুর্নামেন্টের শুরুতে দলে হানা দিয়েছিল ইনজুরি সমস্যা। পুরো টুর্নামেন্টে সমস্যা থাকলেও ভোগায়নি। তরতর করে ফাইনালে উঠে এসেছে তারা। এবার শিরোপা ধরে রাখার মিশন তাদের সামনে।
ইতালি-ব্রাজিল এর আগে টানা দুইবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল। এবার সেই সুয🐽োগটা পাচ্ছে ফ্রান্স। এই লড়াইয়ে জিততে হলꩵে তাদেরকে খেলতে হবে ফর্মের তুঙ্গে থাকা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।
ফরাসিদের অন্যতম ভরসা কিলিয়ান এমবাপে꧑। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে ৫ গোল করা এমবাপে নক আউট পর্বে খুলতে পারেননি গোলের খাতা। অবশ্য পেছনে থেকে তাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন অলিভায়ের জিরুড। এবারের আসরে অ্যান্তেনিও গ্রিজম্যানকে নিয়ে আলোচনা না হলেও মিডফিল্ডার হিসেবে বলের বেশিরভাগ যোগান আসছে তার পা থেকেই।
ভাইরাসজনিত সমস্যায় ফাইনালের দুইඣ দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন ফ্রান্সের ফুটবলাররা। তবে শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সবাই অনুশীলন করেছেন। তাতেই ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই মাঠে নামতে পারবে ফ্রান্স।
দুই দলই মাঠে নামবে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে। শেষ পর্যন্ত কার হাতে উ🍰ঠবে শিরোপা? সেই উত্তর মিলবে রাতে।