সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের রক্ষণভাগের অন্যতম ভরসার নাম আঁখি খাতুন। মেয়েদের𒁃 ‘কায়সার হামিদ’ খ্যাত এই ডিফেন্ডারের উঠে আসার গল্পটা অন্য সবার মতোই বেশ কঠিন। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেললেও এখনো প্রতিবেশীদের কাছে হেনস্তার শিকার হন এই ফুটবলার। এখনো প্রতিবেশীরা তার সঙ্গে কথা বলেন না।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পারকোলা গ্রামে জন্ম ও বেড়ে ওঠা আঁখি খাতুনের। মা-বাবা ও ভাইকে নিয়ে পুরো পরিবার। আঁখির ছোটবেলা থেকেই অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন। এমন সব পরিস্থিতি সামলেই স্কুল ও অনুশীলন করেছেন তিনি। কখনোই সমর্থন করেনি তার প্রতিবেশীরা। এমনকি꧟ এখনো প্রতিবেশীদের সঙ্গে লড়াই করছেন।
পরিবারের সমর্থন পেলেও বংশের লোকদের বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে এই ডিফেন্ডারকে। এই নিয়ে তিনি বলেন, “ফুটবল খেলতে পুরো পরিবারের সমর্থন ছিল। তাদের জন্যই এত দূর আসতে পারছি। কিন্তু বং🃏শের অন্যরা আমাকে অনেকভাবে বাধা দিয়েছে।”
বংশের লোকদের কাꦡছে বাধা পেলেও গ্রামের অনেকেও তার পাশে থাকেন বলে জানান আঁখি। বলেন, “আমাদের সঙ্গে বংশের অন্যরা কথা বলে না। তবে গ্রামের অনেকে আমাদের পাশে আছে। বংশের লোকজ꧒ন এখনো চায় না, আমি ভালো কিছু করি। শুধু পরিবারই আমার ভালো চায়।”
সাফ চ্যাম্পিয়ন জিততে বড় ভূমিকা রাখা আঁখি প্রথম নজর কাড়েন ২০১৭ সালে। সেবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের অনূর্ধ্ব-১৫ আসরে শিরোপা জেতে 💎বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রক্ষণ সামাল দিতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। দারুণ সেই পারফরম্যান্সে জিতে নিয়েছিলেন টুর্নামেন্টের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল’ খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
ছোটবেলা থেকেই মাকে অসুস্থ দেখছেন ডিফেন্ডার আঁখি। খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুতে তার অসুস্থ মাকে দেখার মতো কাউকে পা🍌ননি বলেও জানান।  🍸;
আঁখি বলেন, “আম🧔ার ছোটবেলা থেকেই মায়ের শরীর ভালো না। প্রায় সময়ই অসুস্থ থাকে। অনুশীলনে যাওয়ার সময়ে অন্যদের বলে যেতামে মাকে একটু দেখতে। কেউ দেখত। বাসায় এসে দেখা যেত, মা নিচে পড়ে আছে। আমাদের এখানে কেউ মারা গেলেও তারা আসবে না।”
কঠিন মনোবলের সঙ্গে লড়াই করে বড় হওয়া আঁখি খাতুন ফাইনালেও ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথমার্ধ🐠ে নেপালের বড় তারকা সাবিত্রা ভাণ্ডারি না খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন। তাকে আট♎কাতে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেরাই পরিকল্পনা বদল করেছিলেন বলে জানান আঁখি খাতুন।
তিনিই বলেন, “সাবিত্রা (ভাণ্ডারি) অনেক ভালো খেলোয়াড়। ওর সঙ্গে0 খেলার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে যখন শুনছি ও মাঠে নামবে অনেক নার্ভাস হয়েছিলাম। তারপরও নিজেদের পরিকল্পনা বদলে ফেলি। এꦡকজন ডিফেন্স করবে আরেকজন কাভার করবে।”
ꦯপ্রতিবেশীদের কাছে নানা কটুকথা শোনার পরও নিজেকে আটকে রাখতে চান না আঁখি খাতুন। প্রতিবেশীদের কটুকথায় আটকে না থেকে পুরো দেশের জন্য ল⛎ড়াই করতে চান।
এই প্রসঙ্গে আঁখি বলেন, “মানুষের কথা শুনতে শুনতে অভ্যাস হয়েছে। এখন আর এই সব নিয়ে ভাবি না। পুরো দেশকে নিয়ে ভাবি ও ভাবতে 💃চাই।”