এখনো আঁখির সঙ্গে কথা বলেন না প্রতিবেশীরা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ১২:১৮ পিএম

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের রক্ষণভাগের অন্যতম ভরসার নাম আঁখি খাতুন। মেয়েদের ‘কায়সার হামিদ’ খ্যাত এই ডিফেন্ডারের উঠে আসার গল্পটা অন্য সবার মতোই বেশ কঠিন। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেললেও এখনো প্রতিবেশীদের কাছে হেনস্তার শিকার হন এই ফুটবলার। এখনো প্রতিবেশীরা তার সঙ্গে ꦗকথা বলেন না।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পারকোলা গ্রামে জন্ম ও বেড়ে ওঠা আঁখি খাতুনের। মা-বাবা ও ভাইকে নিয়ে পুরো পরিবার। আঁখির ছোটবেলা থেকেই অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন। এমন সব পর🃏িস্থিতি সামলেই স্কুল ও অনুশীলন করেছেন তি💞নি। কখনোই সমর্থন করেনি তার প্রতিবেশীরা। এমনকি এখনো  প্রতিবেশীদের সঙ্গে লড়াই করছেন।

পরিবারের সমর্থন পেলেও বংশের লোকদের বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে এই👍 ডিফেন্ডারকে। এই নিয়ে তিনি বলেন, “ফুটবল খেলতে পুরো পরিবারের সমর্থন ছিল। তাদের জন্যই এত দূর আসতে পারছি। কিন্তু বংশের অন্যরা আমাকে অনেকভাবে বাধা দিয়েছে।”

বংশের লোকদের কাছে বাধা পেলেও গ্রামের অনেকেও তার পাশে থাকেন বলে জানান আঁখি। বলেন, “আমাদের সঙ্গে বংশের অন্যরা কথা বলে না। তবে গ্রামের অনে🀅কে আমাদের পাশে আছে। বংশের লোকজন এখনো চায় না, আমি ভালো কিছু করি। শুধু পরিবারই আমার ভালো চায়।ꦡ”

সাফ চ্যাম্🐠পিয়ন জিততে বড় ভূমিকা রাখা আঁখি প্রথম নজর কাড়েন ২০১৭ সালে। সেবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের অনূর্ধ্ব-১৫ আসরে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রক্ষণ সামাল দিতে বড় ভূমি🌊কা রেখেছিলেন। দারুণ সেই পারফরম্যান্সে জিতে নিয়েছিলেন টুর্নামেন্টের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল’ খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

ছোটবেলা থ🌊েকেই মাকে অসুস্থ দেখছেন ডিফেন্ডার আঁখি। খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুতে তার অসুস্থ মাকে দেখার ꦕমতো কাউকে পাননি বলেও জানান।  

আঁখি বলেন, “আমার ছোটবেলা থেকেই মায়ের শরীর🦩 ভালো না। প্রায় সময়ই অসুস্থ থাকে। অনুশীলনে যাওয়ার সময়ে অন্যদের বলে যেতামে মাকে ܫএকটু দেখতে। কেউ দেখত। বাসায় এসে দেখা যেত, মা নিচে পড়ে আছে। আমাদের এখানে কেউ মারা গেলেও তারা আসবে না।”

কঠিন মনোবলের সঙ্গে লড়াই করে বড় হওয়া আঁখি খাতুন ফাইনালেও ছিলেন দুর্দান্ত। প্রথ🌠মার্ধে নেপালের বড় তারকা সাবিত্রা ভাণ্ডারি না খেল🔯লেও দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন। তাকে আটকাতে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেরাই পরিকল্পনা বদল করেছিলেন বলে জানান আঁখি খাতুন।

তিনিই বলেন, “সাবিত্রা (ভাণ্ডারি) অনেক ভালো খেলোয়াড়। ওর সঙ্গে0 খেলার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে যখন শুনছি ও মাঠে নামবে অনেক নার🧸্ভাস হয়েছিলাম। তারপরও নিজেদের পরিকল্পনা বদলে ফেলি। একজন ডিফেন্স করবে আরেকজন কাভার করবে।”

প্রতিবেশীদের কাছে নানা কটুকথা শোনার পরও নিজেকে আটকে রাখত🐽ে চান না আঁখি খাতুন। প্রতিবেশীদের কটুকথায় আটকে না থেকে পুরো 𒊎দেশের জন্য লড়াই করতে চান।

এই প্রসঙ্গ𓂃ে আঁখি বলেন, “মানুষের কথা শুনতে শুনতে অভ্যাস হয়েছে। এখন আর এই সব নিয়ে ভাবি না। পুরো দেশকে নিয়ে ভাবি ও ভাবতে চাই।”