দীর্ঘ ২০ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে জয়ের স্বাদ সিরিজ নিজেদের করে রাঙ্গিয়েছিল টাইগাররা। তবে তিন দফা দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেও সেঞ্চಌুরি হাঁকাতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার। অবশেষে সেই অধরা আক্ষেপের অবসান হল তরুণ ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ের কল্যাণে। প্রোটিয়াদের মাটিতে নিজের প্রথম ইনিংস খেলতে নেমেই নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ডানহাতি এই ওপেনার।
শনিবার (২ এপ্রিল) ডারবানের কিংসমিডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই ২৬৯ বল খেলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ২১ বছর বয়🦩সী মাহমুদুল। দলের অন্যরা যেখানে যাওয়া আসার মধ্যেই ব্যস্ত, সেখানে উইকেটে মাটি কামড়ে দলের আশা একাই বাঁচিয়ে রেখেছেন তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫২ রান। স্বাগতিকদের চেয়ে এখনও ১১৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে সফরকারীরা। মাহমুদুল জয় ১০২ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ২৪ রানে অপরাজি💖ত রয়েছেন।
গত বছর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল জয়ের। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচের দুই ইনিংসে তিনি করেছিলেন ০ ও ৬ রান। তবে চ🐭লতি বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের বাইরে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২২৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে ﷽নিজের সামর্থ্যের জানান দেন তিনি।
সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আজ টানা দ্বি♐তীয় ম্যাচে খেললেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। শুধু পঞ্চাশ পেরিয়েই থেমে যাননি তিনি। নিজের ফিফটিকে রূপ দিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে। ক্যারিয়ারের মাত্র চতুর্থ ইনিংস খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন জয়।
কিংসমিডে শুরু থেকেই ধৈর্য্যের মূর্ত প্রতীক হয়ে খেলছিলেন 🅘জয়। প্রথম ৫০ করতে তিনি খেলেন ১৭০ বল। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম ফিফটিটি করেছিলেন ১৬৫ বলে। আজ🐼 আরও ৫ বল বেশি খেলে পঞ্চাশ করার পর হাত খোলেন তিনি।
তাই তো পরের পঞ্চাশ করতে জয়ের লেগেছে মাত্র ৯৯ বল। এই পঞ্চাশে পাঁচটি চারের সঙ্গে ছিল একটি বিশাল ছয়ের মার। সবমিলিয়ে ২৬৯ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ের মারে সেঞ্চুরি করেছেন♍ জয়। তার ব্যাটেই এখন প্রোটিয়াদের কাছাকাছি যাওয়ার আশা বাংলাদেশের।