প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকও সময়-সময় আপত্তি তুলেছে। বিবিএসের প্রকাশিত তথ্যে෴র সঙ্গে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির তথ্যগত পার্থক্য ক্রমাগত বেড়🌊েছে।
অর্থনীতির পরিস্থিতি নিরূপণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্🌊মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা শ্বেতপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) এ শ্বেতপত্র হস্তান্তর করা হয়।
শ্বেতপত্র কমিটি জানায়, ২০১৮ সালে প্রবৃদ্ধির তথ্যে বিস্তর ফারাক নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান তৎকালীন পরিকল্পনা মন্ত্রী♔ আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। যদিও কামাল ওই বছরের এপ্রিলে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ হবে বলে দাবি করেন।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস ছিল, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে বড়জোর ♐৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এডিবির পক্ষ থেকেও সরকারে🃏র সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করা হয়।
২০২২ সালে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘কান্ট্রি ইকোনমিক মেমোরেন্ডাম-চেঞ্জ অব ফ্যাব্রিক’ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে পার্থক্য বাড়তে থাকে। ত🧸বে ২০১৫-১৯ সময়ের মধ্যে প্রবৃদ্ধির এ পার্থক্য ৩ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়, যা কোন🅘োভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় না।
[105748]
ফলে দেখা যায়, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও কর-জিডিপির অনুপাত বাড়েনি। সেই সঙ্গে প্রবৃদ্ধি বেশি হলে বিনিয়োগ ও রাজস্ব আয় যেমন ভালো হয়, তেমনি কর্মসংস্থানেও গতি থাকে। কিন্তু প্রবৃদ্ধির হারের সঙ্গে এসব সূচকের মিল ছিল না।
সূত্র : প্রথম আলো