‘প্রার্থনা’ বইটি অমর একুশে বইমেলা ২০১৯ সালে প্রকাশিত। সলিমুল্লাহ খানের সৃষ্টিশীল ও সৃজনশীল চিন্তার অন্যতম কর্ম হলো&nbs♛p;‘প্রার্থনা’ বইটি। বইটি জাতীয় সাহিত্য গ্রন্থমালার দ্বিতীয় খণ্ড হিসেবে প্রকাশ পায়। এর আগে জাতীয় সাহিত্য গ্রন্থমালার প্রথম খণ্ড &lsquo🅷;আহমদ ছফা সঞ্জীবনী’ বইটি প্রকাশিত হয় ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
বাংলা সাহিত্যজগতে সলিমুল্লাহ খানের লেখা ও চিন্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বইটিতে নিবন্ধগুলো ১৯৯৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে তিনি লিখেছেন। লেখক বইটিতে লেখাগুলোকে যতি ও নিয়তি এবং রতি ও বিরতি ভাগে আলোচনা করেছেন। বইটির লেখাগুলো দু-একটা ছাড়া বাকিগুলো কোনো বই বা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি বইটিতে তাঁর পরম শিক্ষক সম্পর্কে লিখেছেন। তাঁর পরম বন্ধু, সহপাঠী এবংꩵ ছাত্র সম্পর্কেও তিনি লিখেছেন। স্মৃতিচারণা ও🧜 শুভেচ্ছামূলক লেখাও রয়েছে।
এই বইতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক (১৯১২-১৯৯৯) স্যারের সাথে লেখকের পরিচয় সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। মহাত্মা আহমদ ছফা (১৯৪৩-২০০১) ১৯৭৬ সালে জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের সাথে সলিমুল্লাহ খানকে পরিচয় করে দেন। রাজ্জাক স্যার পড়তে ভালোবাসতেন এবং আলাপ করতে পছন্দ করতেন। তিনি নতুন নতুন বই নিয়ে আলোচনা করতেন। প্রথম দেখাতে সলিমুল্লাহ খানকে পড়ার জন্য বই দিলেন। রাজ্জাক স্যার ছাত্রছাত্রীদের সাথে আপনি করে কথা বলতেন। তাঁদের আলাপে অনেক কিছু ফুটে উঠেছে। সলিমুল্লাহ খান লিখেছেন, ‘মাস্টার হিশাবে অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক সক্রাতেসের মতন ছিলেন বললে কোন কিছু বাড়িয়ে বলা হবে না। উনি প্রথমে ছাত্রদের কথা বলতে দিতেন, তারপর নিজে যা বলবার বলতেন। এই গুণের অধিকারী আর দ্বিꦓতীয় শিক্ষকটির দেখা আমি পাই নাই। আজও পাই নাই’ (পৃ. ৪৩)। অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্যার সম্পর্কে সলিমুল্লাহ খানের লেখায় অসাধারণ স্মৃতিচারণা ফুটে উঠেছে।
বাংলাদেশে চলচ্চিত্র জগতে অক্ষয় অবদান রেখেছেন তারেক মাসুদ (১৯৫৬-২০১১)। তারেক মাসুদ ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী। সলিমুল্লাহ খানের সাথে তারেক মাসুদের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে দুজন সম্পর্কে বন্ধু হয়ে যান। তারেক মাসুদকে স্মৃতিচারণা করে সলিমুল্লাহ খান লিখেছেন ‘আমার বন্ধু তারেক মাসুদ’ ও ‘আমার শিক্ষক তারেক মাসুদ’। তারেক মাসুদের মৃত্যুর পরে সলিমুল্লাহ খান এ লেখাগুলো লিখেছেন। তিনি তারেক মাসুদ সম্পর্কে লিখেছেন, ‘এত অকালে তারেক মাসুদ মৃত্যুবরণ করিবেন, তাহা কোনদিন ভাবি নাই। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, খোদা করেন আর। এই মৃত্যুর মধ্য দিয়া তিনি দেশের তো বটেই, আমার মতো অভাজন ছাত্রেরও অনেক ক্ষতি করিয়া গিয়াছেন। তারেকের কাছে আমার অনেক ঋণ। এই ঋণ পরিশোধ করিবার কোন উপায় তিনি রাখিয়া যান নাই’ (পৃ. ৭০)। বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র মহাত্মা আহমদ ছফার অনুরাগী ছিলেন সলিমুল্লাহ খান ও তারেক মাসুদ। উভয়ের বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠ হবার ক্ষেত্রে কবি মোহন রায়হান অনুঘটকের ভূমিকা 🐻পালন করেন। অধ্যাপক মমতাজুর রহমান তরফদার (১৯২৮-১৯৯৭) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রথিতযশা শিক্ষক ছিলেন। তিনি একজন ইতিহাসবিদও বটে। তিনি একজন কবিও। তিনি ১৯৭৬ সালে ‘চতুষ্ক’ নামে একটি কবিতা সংগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
অধ্যাপক মমতাজুর রহমান তরফদারের সাথে সলিমুল্লাহ খানের জ্ঞানচর্চাবিষয়ক সম্পর্ক ছিল। সলিমুল্লাহ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। আর অধ্যাপক মমতাজুর রহমান তরফদার অন্য বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। অধ্যাপক মমতাজুর রহমান তরফদারের সাথে পরিচয় করে দিয়েছেন মহাত্মা আহমদ ছফা। সলিমুল্লাহ খান তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন, ‘তরফদার সাহেব ভূবাংলাদেশে ইতিহাস লেখক পরিচয়ে বিশিষ্ট। বস্তুত তাঁহার সহিত তুলনা দিবার ইতিহাস লেখক এ দেশে বড় বেশি নাই। ত🥀াঁহার লেখা ‘হোসেন শাহের বাংলা ১৪৯৪-১৫৩৮: সমাজ ও রাষ্ট্র পর্যালোচনা’ (১৯৬৫) আর ‘বাংলা রোমান্টিক কাব্যের আওয়াধী-হিন্দী পটভূমি’ (১৯৭১) ‘বাংলাদেশের ইতিহাস সাহিত্যের দুইটি অমূল্য সম্পদ’ (পৃ. ১১)। অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান এ বইয়ে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মমতাজুর রহমান তরফদারের কয়েকটি স্মৃতি তুলে ধরেছেন।
স্মৃতিময় লেখায় তুলে ধরেছেন তাঁর বন্ধু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাকী (১৯৫৭-২০০১) সম্পর্কে। সাকীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। লোকপ্রশাসন বিভাগে পড়🦩ালেখা করেছেন। সলিমুল্লাহ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছা⛄ত্র থাকাকালীন ‘প্রাক্সিস জার্নাল’ প্রকাশ করেছিলেন। প্রাক্সিস জার্নালে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন তিনি। তখন পাঠকমহলে বেশ জনপ্রিয় ছিল প্রাক্সিস জার্নাল। ওই সময়ে বাংলাদেশের খ্যাতনাম বুদ্ধিজীবীগণ ও চিন্তাশীল তরুণেরা প্রাক্সিস জার্নালে লিখতেন। সলিমুল্লাহ খান সাকী সম্পর্কে লিখেছেন, ‘আমরা বড় সামান্য ক্ষমতার মানুষ ছিলাম। আমাদের পত্রিকাটা সঙ্গত কারণেই বেশিদিন বাঁচে নাই। এই পত্রিকা প্রকাশ করতে গিয়ে যে কয়টি অমূল্য বন্ধুর সন্ধান পেয়েছিলাম আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাকী ছিলেন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। চিরকাল জানি মৃত্যুই শেষ সত্য কিন্তু আজ মনে হয় মৃত্যুও শেষ কথা নয়। মানুষের পক্ষে শেষ কথা আর কিছুই নয়—জীবন মৃত্যু পায়ের ভৃত্য’ (৪৭)।
বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান (১৯২৮-২০১৪) বাংলাদেশের ইতিহাসে পরিচিত নাম। তিনি তত্ত্বাবধায়ক 📖সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ছিলে🅠ন। এছাড়া তিনি একসময় এদেশের প্রধান বিচারপতিও ছিলেন। তিনি বাংলায় লেখালেখি করতেন। বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সম্পর্কেও সলিমুল্লাহ খান একটা প্রবন্ধ এ বইয়ে লিখেছেন। সলিমুল্লাহ খান লিখেছেন, ‘এদেশের বিচার বিভাগে- বিশেষ সর্বোচ্চ আদালতে- বাংলা ভাষার ব্যবহার অদ্যাবধি অবাধ হয় নাই। বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নাতিদীর্ঘ সোহবতেও তাহা হইতে পারে নাই। স্বীকার করি, এই অন্যায় বা বন্যায়ের দায় একা একা বিচারপতি হাবিবুর রহমানের মাথায় চাপান ঠিক হবে না। অবশ্য এ কথাও তো বেঠিক নহে যে লোকে তাঁহার কাছে বাংলা ভাষায় কিছু রায়-রায়ান— মানে ‘নজির—অন্তত নজির বা উদাহরণস্বরূপ আশা করিত’ (পৃ. ৮২)। অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান যৌক্তিক আলোচনা ও সমালোচনা করতে কখনো পিছপা হননি। যেটা তাঁর বইয়ের লেখায় ফুটে উঠেছে।
এ বইয়ের ‘যতি’ অংশে লেখক আরো আলোচনা করেছেন শহিদ মাহমুদ হাছান, অমিত ধর, আহমদ ছফার অনুরাগী মাহফুজুর রহমান ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (১৯০৬-১৯৯১) সম্পর্কে। রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ বাংলা সাহিত্যে চিরচেনা একটি নাম। পাঠকদের কাছে তিনি একজন কবি। প্রথিতযশা কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর সাথে সলিমুল্লাহ খানের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। তিনি লিখেছেন, &lsquo🐻;রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ কবিতা 🉐লিখিয়া শেষ করিতেন না, আওড়াইতেনও বেশ। এখন আওড়ানকার দেখি অনেক কিন্তু রুদ্র বিশেষ দেখি না। ভাবিতে অবাক লাগে, তাঁহার অন্তর্ধানের পরে যাঁহারা ফি বছর ‘রুদ্রমেলা’ আয়োজন করিবার ঘোষণা দিয়াছিলেন, একে একে তাঁহারাও অন্তর্ধান করিতেছেন। রুদ্রের শেষযাত্রার পর আহমদ ছফা প্রায়ই বলিতেন, আমরা ফি বছর রুদ্রমেলা বসাইব। একাদশ বছরের মাথায় তিনিও রুদ্রের পথ অনুসরণ করিলেন’ (পৃ. ৯)।
এ বইয়ের ‘নিয়তি’ বিভাগ যাঁদ💮ের নিয়ে লিখেছেন তাঁরাও পরলোকগত এবং ইতিহাসে স্মরণীয়। আলোচনা করেছেন পরাধীন ভারতের শেষ স্বাধীন মানুষ মৌলানা আবুল কালাম আজাদ (১৮৮৮-১৯৫৮), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুজফ্ফর 𒈔আহমদ (১৮৮৯-১৯৭৩), এডোয়ার্ড সায়িদ (১৯৩৫-২০০৩) ও ফিদেল কাস্ত্রো (১৯২৬-২০১৬) সম্পর্কে।
কমরেড মুজফ্ফর আহমদ জন্মগ্রহণ করেছেন সন্দ্বীপ নামক অখ্যাত এক স্থানে। কিন্তু তাঁর কর্মে ও সংগ্রামে ভারতবর্ষের ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। সলিমুল্লাহ খান লিখেছেন, ‘মুজফ্ফর আহমদ ও তাঁহার সঙ্গীরা কিং এম্পেরর অর্থাৎ ব্রিটেনের রাজা, ভারতের সম্রাটকে ভারত হইতে তাড়াইতে চাহিয়াছিলেন। স্বয়ং ভারত সরকার সাক্ষী, মুজফ্ফর আহমদ🍌 ও তাঁহার সঙ্গীরাই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রপথিক ছিলেন’ (পৃ. ১০৫)।
বইটির ‘রতি’ ভাগে রয়েছে বিভিন্ন লেখকের অনুরোধে-উপরোধে বইয়ের মুখবন্ধ /ভূমিকা সম্পর্কে লেখা। যা পাঠকদের জানার পরিধি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। অধ্যাপক আবুল বারকাত গণমানুষের অর্থনীতিবিদ হিশেবে খ্যাত। সলিমুল্লাহ খান তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন, ‘আবুল বারাকাত এখনো সপ্রাণ সজীব আছেন। প্রার্থনা করি তিনি দীর্ঘজীবী হৌন। তাঁহার শিক্ষা ও দৃষ্টান্ত আমাদের পক্ষে পাথেয়স্বরূপ হৌক। আমাদের দেশ যদি সত্যকার গুণের কদর করিতে জানিত, তাহা হইলে আবুল বারকাতের মতন সাহসী ও সত্যবাদী বুদ্ধিজীবী আরো তৈয়ার হতো’ (পৃ. ১৩১)। মোহন রায়হান সাহিত্যজগতে আলোচিত নাম। তিনি কবি মোহন রায়হান হিশেবে সমধিক পরিচিত। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন সিরাজগঞ্জে। সলিমুল্লাহ খান সম্পাদিত ‘সাহসী মানুষ : মোহন রায়হান ৫০ বছরপূর্তি সংবর্ধনা গ্রন্থ’ ২০০৮ সালে প্রকাশিত হয়। কবি মোহন রায়হান সম্পর্কে খান লিখেছেন, ‘সে ১৯৭৮ সনের কথা। যে কবিতা আমি লিখতে চাহিয়াছিলাম কিন্ꦆতু পারি নাই, একদিন দেখিলাম আমার নতুন বন্ধু মোহন রায়হানই সে কবিতার অনেকটাই- যেমন ‘সাহসী মানুষ চাই’—লিখিয়া ফেলিয়াছেন। তাঁহাকে অভিনন্দন জানান কর্তব্য বলিয়া সাব্যস্ত করিলাম। আমিও ভর্তি হইলাম তাঁহার অগণিত ভক্তের দলে’ (পৃ. ১৫০)। উল্লেখ্য যে, কবি মোহন রায়হানকে কয়েদখানায় দিন কাটাতে হয়েছিল।
চট্টগ্রামের সন্তান লেখক অভীক ওসমান। তিনি গদ্যকার অভীক ও সমান হিশেবে সমধিক পরিচিত। তাঁর বইয়ের ভূমিকাও লিখেছিলেন সলিমুল্লাহ খান। গদ্যকার অভীক ওসমান সলিমুল্লাহ খানের প্রাচীন বন্ধু। তিনি একজন কবি এবং অভিনেতাও বটে। তাঁর সম্পর্কে সলিমুল্লাহ খানের বয়ান, ‘অভীক ভয় পান না। অভীক মানেই তো অকুতোভয়। অভীকের গদ্যে গল্পের আর আর কাহিনীর হাওয়া পাওয়া যায়। হয়ত সেই কারণেই - ভয়ে বলব না নির্ভয়ে বলব টের পাই না- তাঁর গদ্য পড়া যায়। এই গুণ সামান্য নয়, বিশেষ’ (পৃ. ১৫৮)। বিধান রিবেরু দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে আলোচিত ও পরিচিত নাম। সলিমুল্লাহ খানের সাথে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁর বইয়ের মুখবন্ধ লিখেছেন সলিমুল্লাহ খান। তিনি বিধান রিবেরু লেখ🎉া সম্পর্কে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধু বিধান রিবেরু আমাদের দেশ ও জাতির এই দীর্ঘস্থায়ী হৃদরোগের একটা বিশেষ আলামত বিশ্লেষণের সামান্য চেষ্টা করিয়াছেন। এই সংকলনে তাহার কিছু প্রাণ আপনি পাইবেন। আমিও পাইয়াছি’ (পৃ. ১৮২)।
বইটির ‘রতি’ অংশে আরো কয়েকজন লেখকের বইয়ের ভূমিকাও তুলে ধরেছেন লেখক। বইটির শেষ ভাগ বিরতি অংশে রয়েছে দুইখানি প্রত্যয়নপত্র। এ অংশে আরো রয়েছে ‘বাঙালি মুস🎶লমানের মন: মাটির ময়না’ ও ‘দুঃখের বিষয় শাহবাগ’ নামে দুইটি প্রবন্ধ। ‘বিরতি’ অংশে সলিমুল্লাহ খানের শিক্ষা জীবনের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের স্মৃতি পাওয়া যায়।
মহামতি সলিমুল্লাহ খানের ‘প্রার্থনা’ বইটি প্🐓রকাশ করেছে ‘মধুপোক’।