বছরখানেকের বিবাহিত রণেশ প্রিয়তমা স্ত্রীর কান্নাজড়িত অধরে, কপালে, কপোলে কয়েকটি গরম চুম্বন দিয়ে পাঁচ দিনের ট্রেনিংয়ের উদ্দেশ্যে রেলস্টেশনে পৌঁছাল। হঠাৎ বসের ফোন, তীব্র শীতের জন্য ট্রেনিংটা দুসপ্তাহ পিছিয়েছে। খুশিতে গদগদ রণেশ একগাদা ভালোমন্দ বাজার নিয়ে বাসায় হাজির। ভেজানো দরজায় ধাক্কা দিতেই চোখ যায় পালঙ্কের ওপর। দেখে প্রিয় কম্বলটার বাইরে চকচকে চারটে পা। তৎক্ষণাৎ রণেশের ভেতরের পশুট💛া হিংস্র দানব হয়ে ওঠে। রান্নাঘরে ঢুকে ধারালো বঁটিটা নিয়ে আসে। তারপর একটা রক্তাক্ত ইতিহাসের অধ্যায়।
জজ সাহেবের সামনে জোড়া খুনের আসামি রণেশের স্বপ্রণোদিত স্বীকারোক্তি, স্যার বিশ্বাসঘাতকের প্রকৃত সাজাই আমি দিয়েছি। সম্পর্কের মধ্যে ঘাপটি মারা ঘুণ কোনো না কোনো খুনেই শেষ হয়। আমারটা না হয় জোড়া খুনেই শেষ হলো।