"বই আন্দোলন বাংলাদেশ" শিরোনামে একদল স্বেচ্ছাসেবী তরুণ মানুষদের বই পড়তে উৎসাহিত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সমাজে বইয়ের প্রতি আগ্রহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। যার ফলে মানুষের জ্ঞানের ভাণ্ডার যথেষ্ট কম। তাই তরুণরা সমাজে বই পড়ুয়াদের জন্যে একটি ভার্চুয়াল সংগঠন তৈরি করেছে এবং যার কাজ বর্তমানে অফলাইনেও করা হচ্ছে। দেশের সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে বর্তমানে "বই আন্দোলন বাংলাদেশ" এর কার্যক্রম সচল রয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর সংগঠনটির ২য় প্🐻রতিষ্ঠা বার্ষিকী সারাদেশে সব বিভাগে একযোগে পালিত হয়।
দেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ই জানুয়ারী বইপড়ুয়াদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ১২০ জনের অধিক পাঠক ও তরুণ লেখকরা উপস্থিত ছিলেন। কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর সকল প📖াঠকদের পরিচয় পর্ব নেওয়া হয়। সৃজনশীল প্রতিভা অন্বেষণে আয়োজন করা হয় কবিতা আবৃত্তি, বই রিভিউ, অণুগল্প ও কুইজ♌ প্রতিযোগিতা। পাঠকরা আগ্রহের সাথে অংশগ্রহণ করে এবং সৃজনশীলতার উপর ভিত্তি করে বিজয়ীদের উপহার হিসেবে বই প্রদান করা হয়।
বই ও কার্যক্রম নিয়ে আগত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন লর্ড জুলিয়ান, তুর্জয় শাকিল, ফারজানা বব𒈔ি, সাবিনা ইয়াসমিন, মেহেদী হাসান, সালমা জাহান সনিয়াসহ প্রমুখ লেখক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাকিল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম নিরব ও সাংগঠনিক সম🗹্পাদক আসফিমা মিমু। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে থাকা মোঃ সালমান, তুহিন শেখ, ইলিয়াস হাসান, বিপ্রতীপ শাহ তন্ময়।
সবাইকে নিয়ে একসাথে প্রতিষ্ঠাবা🔯র্ষিকীর কেক কাটা হয় এবং সর্বশেষ ছিল বই বিনিময়। বই বিনিময়ে অনেক সদস্য তাদের পঠিত বইগুলো বিনিময় করেন। আমাদের সমাজে অনেক সময়ই দেখা যায় বই দেওয়া-নেওয়া হয় ফ্রিতে। কিন্তু এর যথাযথ মূল্য দেওয়া হয় না। তাই এই আয়োজন করা হয়। এতে পাঠকরা তাদের পঠিত বই পরিব🐼র্তন বা বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দ মতো বই নিতে পারে।
সর্বশেষ সং꧒গঠনটির সভাপতি এনামুল হাসান এর "বই পাঠকের বন্ধু হোক" শিরোনামে সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।