আটচল্লিশ কিংবা পঞ্চাশেও প্রৌঢ় হয় না
আজকাল কেউ
বরং গন্তব্য নিশ্চিত করে
সুস্থির করে পথ চলা;
তুমি কোন পথে হাঁটছ হে?
এতটা পথ পেরিয়ে এলে টালমাটাল
এ বয়সেও ঠিক করতে পারলে না গন্তব্য।
উন্মুক্ত আকাশের নিচে বাঁ দিকের মেঠোপথ
তোমায় টানেনি;
আড়মোড়া ভেঙে পথভোলা পথিকের মতো
যদিও পা ফেলেছ দুয়েকবার ওদিকে
অন্তর্গত দ্বিধায় তারপর
পিছিয়ে এসেছ দশ পা।
ডানের চওড়া সড়কের মাথায় দেখেছিলে
টইটম্বুর দীঘির জল, মৃদুমন্দ দখিন হাওয়া
ইচ্ছে পরীর নর্তন আর বটবৃক্ষের ছায়া;
সেদিকেই ভিড়লে তুমি
মজলে সে সব বিভঙ্গে।
ঠিক আছে, সুস্থির থাকতে পারতে তাতেই
নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে।
তবু জানা যেত ‘চরিত্র’ বলে যে শব্দের প্রচলন অভিধানে
তার একটি স্কেচ আঁকা হলো তোমার শরীরে
সেখানেও থাকলে না তুমি।
দখিনের সড়ক ছাড়নি যদিও
তবু বারবার হড়কাচ্ছো পা
খানাখন্দ, পচাডোবা, মজা পুকুরে
হাবুডুবু খেয়ে নাজেহাল এ বয়সেও।
আর কতটা পথ হাঁটলে
সাবালক হবে তুমি?
তোমার পিঠ বরাবর দেখা দেবে
মেরুদণ্ডী প্রাণী🌊র প্রধান লক্ষণ সটা🌊ন শিরদাঁড়া?