বন্যা পরবর্তী সময়ের প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

হটাৎ বন্যায় বিপর্যস্ত বন্যাদুর্গত অঞ্চলের মানুষজন। কোন ধরণের প্রস্তুতি ছাড়া সব ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে হয়েছে বহু মানুষের। আবার কোন কোনও পরিবারকে উদ্ধার করতে হয়েছে পানিবন্দী অবস্থা থেকে। ফলে সঙ্গে আনতে পারে নি তাদের কোন কিছুই। এদের অনেকেরেই ঘর বাড়ি ভেসে গেছে। কারও হয়তো আছে। এমন অবস্থায় দুর্যোগ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে বন্যাকবলিত অঞ্চলের মানুষজন। নিরাপদ পানির অভাব সহ আরও নানামুখী সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন যাপনꩵ করছে তারা।

তবে একসময় 🧜ধীরে ধীরে পানি নেমে যাবে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ যখন নিজের বসতবাড়িতে ফিরতে শুরু করেন, সেই সময়টা আরও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হবেন তারা। সেমসয় সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে কিছু বিষয়ে সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানি নেমে গেলেও টিউবয়েলের পানি খাবার অযোগ্য থাকে তখনও। তাই বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপদ পানি এবং খাবারের ব্যবস্থা যেমন করতে হবে, তেমনি পর▨িষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকেও যত্নশীল হতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, বন্যা পরবর্তী সময়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে-  

  • আকস্মিক বন্যায় সবাইকে তাদের সব কিছু রেখেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হয়েছে। ফলে ঘর সহ রয়ে যায় জামা কাপড়, আসবাবপত্র। এইসব জিনিসপত্র সবই বন্যার পানিতে ভিজে যায়। তাই পানিতে ভিজে যাওয়া কাপড়চোপড়, বাসনকোসন, ঘরের মেঝে, নিত্যব্যবহার্য জিনিস—যা কিছু বন্যার পানির সংস্পর্শে এসেছে, তার সবই জীবাণুমুক্ত করে নিতে হয়। তাই প্রচুর সাবান, ডিটারজেন্ট এবং ব্লিচিং পাউডার প্রয়োজন হয় বন্যাপরবর্তী সময়ে।
  • বন্যাদুর্গত এলাকায় নিরাপদ, বিশুদ্ধ পানির অভাবে পড়েন মানুষ। পানি নেমে গেলেও টিউবয়েলের পানি তখনও পানের অযোগ্য থাকে। আর সেই পানি পান করলে নানা পানিবাহিত রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। তাই যে কোন ভাবেই হোক নিরাপদ পানি পান করতে হবে। তাই ফিটকিরি এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সংগ্রহ করতে হবে। সেক্ষেত্রে যারা ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন এসব এলাকায় তারা এবিষয়টাও মাথায় রেখে বেশি করে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠাতে পারেন এসব এলাকায়।
  • যেকোন ভাবে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আর বন্যায় ডায়রিয়া সহ অন্যান্য সব পানিবাহিত রোগ বাড়তে থাকে। তাই এসময় বন্যাদুর্গত এলাকাই স্যালাইন খুব প্রয়োজনীয় জিনিস। এইটা মাথায় রাখতে হবে ত্রাণ দাতাদের।
  • বন্যাদুর্গত এলাকায় ওরস্যালাইন ছাড়াও কাজে আসতে পারে প্যারাসিটামল। কেটে–ছড়ে গেলে কাজে আসবে গজ, ব্যান্ডেজ। সাহায্য করতে চাইলে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। কোন ধরনের ওষুধ বেশি প্রয়োজন হচ্ছে, তা জেনে নিয়ে ওষুধ পাঠাতে পারেন সেই অনুযায়ী।
  • এই পরিস্থিতে নারীদের ব্যাক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। তাই স্যানিটারি প্যাড সরবরাহ করার কথা ভাবা উচিত। এমনকি শিশুদের জন্যও ডায়াপারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভুলে গেলে চলবে না।
  • পানি নেমে গেলে ঘরে ফিরেই রান্না করতে বসে যাওয়া যাবে না। চুলা হাড়ি-পাতিল সব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তারপরই রান্না করা সম্ভব। তাই বন্যার পরও শুকনো খাবার লাগবে এসব পরিবারের।
  • রান্না করতে গেলেই লাগবে বাজার। লাগবে মসলা। ইতোমধ্যে পানিতে সব নষ্ট হয়ে যাবার কথা। তাই বাজারের কথাও মনে রাখতে হবে সবাইকে।