পিরিয়ডের দিনগুলোতে শারীরিক অস্বস্তি যেন পিছু ছাড়ে না। কখনো অত্যাধিক রক্তপাত, কখনো বেজায় পেটে ব্যথা। পুরো সময়টা একটা অস্বস্তির ভেতর দিয়ে কাটে নারীদের। প্রচণ্ড পেটে ব্যথায় গরম পানির সেঁক দিয়েও♒ যেন আরাম পাওয়া যায় না।
শরীরের পাশাপাশি ক্লান্ত-বিধ্বস্ত হয়ে পড়🎃ে মনও। ঘন ঘন মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে। মুড সুইং হতে পারে মাঝেমধ্যেই। সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। তবু পিরিয়ডের দিনগুলোতে কিছু কাজ অবশ্যই আমাদের এড়িয়ে চলꦬা উচিত।
কোন কাজগুলো পিরিয়ডের দিনগুলোতে না কর🐽াই ভালো তা জা🔯নাব এই আয়োজনে_
পিরিয়ডের সময়টাতে ঘরে বসে চিপস বা নোনতা জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে করে অনেক সময়। তবে এ ধরনের খাবার এই সময় খাওয়া একদমই উচিত নয়। নোনতা খাবার খেলে শরীরে পানি জমে। বরং শরীরকে সতেজ রাখতে চকলেট খেতে পারেন এই দিনগুলোতে।
রাত জাগা এখন সবারই একটা বদভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে আবার কাজের জন্য রাত জেগে থাকেন। তবে পিরিয়ডের দিনগুলোতে এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। একটু আগেই বিছানায় যান। এতে শরীরের ধকল ও অস্বস্তি দুটোই কমবে।
পিরিয়ডের দিনগুলো অনেকে শরীরচর্চা থেকে বিরতি নেয়। এটা একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত। বরং এই বিশেষ দিনগুলোতে শরীরচর্চার পাশাপাশি ইয়োগা করুন। তাতে আপনার পিরিয়ডজনিত পেটে ব্যথা থেকে উপশম পাবেন।
শরীরের অস্বস্তির কারণে এ সময় খাবারের প্রতিও আগ্রহ কমে যায়। তবে মনে রাখা উচিত খাবার না খেলে বা খাওয়া কমিয়ে দিলে শরীরের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। যেহেতু এই সময়টাতে শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে যায়, তাই বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
পিরিয়ডের দিনগুলোকে মানসিক প্রশান্তির জন্য অনেকে আবার পার্লারে গিয়ে খানিকটা সময় কাটিয়ে থাকেন। এটা বেশ ভালো একটা ভাবনা। তবে ভুলেও ওয়্যাক্স করাবেন না। এই সময় আমাদের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল থাকে। তাই ওয়্যাক্স করলে অনেক বেশি ব্যথা পেতে পারেন। তবে ম্যাসাজ করাতে পারেন।
পিরিয়ডের সময় দই, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়াই ভালো। এ সময়টতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বেড়ে যায়। এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যও দেখা দিতে পারে। তাই সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে এড়িয়ে চলুন।