যারা বিভিন্ন মানসিক চাপে ভুগছেন বিশেষ করে অটিজমে আক্রান্ত শ🐟িশুদের মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর�� ঘাসের স্পর্শ। আবার অনেকে বিষণ্নতা ভোগেন, কেউ কেউ স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্যও উপকারী ঘাসের স্পর্শ। একে বলা হয় উদ্ভিদ থেরাপি।
এই উদ্ভিদ থেরাপি স্কিজোফ্রেনিয়ার দীর্ঘমেয়াদি কিছু লক্ষণ হ্রাসে, এবং অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডাཧর (এডিএইচডি) এবং অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের মানসিক চাপ ও অস্থিরতা কমাতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
সম্প্রতি একটি অনুসন্ধান শুরু হয়♉। এই অনুসন্ধানে অংশ নেয় ১৪ জন মানুষ। অংশগ্রহণকারীদের একটি ক্লিনিক্যাল পরিবেশে চোখ বন্ধ করে চার ধরনের বস্তু স্পর্শ করতে দেওয়া হয়। বস্তুগুলো ছি🔥ল-একটি জীবন্ত পাথোস গাছের পাতা, রেজিন দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম পাথোস পাতা, নরম কাপড়ের একটি টুকরা এবং একটি ধাতব প্লেট। এ সময়ে তাদের মস্তিষ্কে ইনফ্রারেড স্পেকট্রোস্কপি ব্যবহার করা হয। এই যন্ত্র ব্যবহারের উদ্দেশ্য হলো মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সক্রিয়তার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, জীবন্ত পা🔴থোস পাতায় স্পর্শ করলে একটি উল্লেখযোগ্য প্রশান্তি সৃষ্টিকারী প্💯রতিক্রিয়া দেখা যায়। এই প্রতিক্রিয়া অন্য বস্তু গুলো স্পর্শ করলে যে প্রশান্তি হয় তার তুলনায় অনেক বেশি।
কেন এমন হয়?
আমাদের শরীরে লক্ষ লক্ষ রিসেপ্টর রয়েছে। এগুরো স্পর্শ উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। শরীরের একে জায়গায় রিসেপ্টরের ঘনত্ব একেক রকম। যখন আমরা কোন কিছু স্পর্🦹শ করি তখন, এসব রিসেপ্টর সক্রিয় হয়ে সিগন্যাল তৈরি করে। সিগন্যালটি সেন্সরি নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কের স্পাইনাল কর্ড হয়ে থ্যালামাস অঞ্চলে পৌঁছায়। থ্যালামাস অঞ্চলের নিউরনগুলো এই সিগন্যালকে মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশে প্রেরণ করে, যা বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এর মধ্যে রয়েছে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নড়াচড়া, হৃদস্পন্দনের পরিবর্তন, শ্বাসপ্রশ্বাসের হার, মনোযোগ ও সচেতনতার পরিবর্তন।
সূত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড